ফরিদা পারভীনের সংগীতে ৫০ বছর
গানে হাতেখড়ি পাঁচ বছর বয়সে। তবে রাজশাহী বেতারে নজরুলগীতির শিল্পী হিসেবে গান গাইতে শুরু করেন ১৯৬৮ সালে। সেই হিসাবে ৫১ বছর হলেও লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীনের সংগীতে ৫০ বছরপূর্তি আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপন করতে যাচ্ছে লালন রিসার্চ অ্যান্ড কালচারাল ফাউন্ডেশন।
৩০ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে চারটায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ফরিদা পারভীনের ৫০ বছর পূর্তির এ আয়োজন। অনুষ্ঠানে ফরিদা পারভীনকে সংবর্ধনা স্মারক তুলে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁর সংগীতজীবন নিয়ে থাকবে আলোচনা।
এর প্রধান আলোচক এবং লালন রিসার্চ অ্যান্ড কালচারাল ফাউন্ডশনের সভাপতি ড. আবু ইসহাক হোসেন জানান, ‘৩১ ডিসেম্বর ফরিদা পারভীনের ৬৫ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। তার আগের দিন আমরা সংগীতে তাঁর ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপন করতে যাচ্ছি। তাঁর ওপর শুরুতে আলোচনা পর্বটিতে সভাপতিত্ব করবেন লালন গবেষক ড. মুচকুন্দ দুবে। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সাবেক মন্ত্রী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর, সংগীতজ্ঞ আজাদ রহমান এবং ড. আনোয়ারুল করিম। স্বাগত বক্তব্য দেবেন লালন রিসার্চ অ্যান্ড কালচারাল ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ড. বি এম দুলাল। এরপর থাকবে ফরিদা পারভীনের একক সংগীত পরিবেশনা।
ফরিদা পারভীন বলেন, ‘আসলে আমাকে নিয়ে এর আগে কেউ এমন উদ্যোগ নেয়নি। লালন রিসার্চ অ্যান্ড কালচারাল ফাউন্ডেশন আমাকে মূল্যায়ন করছে। আমি মনে করি, এটি আমার জন্য একটি বড় পাওয়া। সব ধরনের গানের প্রস্তুতি থাকবে। আমি নিজের গাওয়া দেশপ্রেম এবং বিশুদ্ধ আধুনিক প্রেমের গানগুলো গাইব প্রথম পর্বে। দ্বিতীয় পর্বে আমি সাঁইজির গান গাইব।’
ফরিদা পারভীন প্রথমে নজরুলসংগীত, এরপর দেশের গান গেয়ে পরিচিতি পেলেও ১৯৭৩ সালে লালনসংগীতে নিবেদিত হন। মোকসেদ আলী সাঁইজির কাছে ‘সত্য বল সুপথে চল’ এই গানের মাধ্যমে লালনসংগীতে তালিম নেন। লালনশিল্পী হিসেবেই সুপরিচিত হন।
তাঁর কণ্ঠে বেশ কটি আধুনিক ও দেশের গান জনপ্রিয় হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ‘তোমরা ভুলে গেছ মল্লিকা দির নাম’, ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ ইত্যাদি। ১৯৯৩ সালে অন্ধ প্রেম চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত ‘নিন্দার কাঁটা’ গানটির জন্য শ্রেষ্ঠ সংগীতশিল্পী (নারী) হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি ২০০৩ সালে একুশে পদক এবং ২০০৮ সালে জাপানের ফুকুওয়াকা পুরস্কার লাভ করেন।