ঢাকায় ফরাসি গায়ক মানু
প্যারিসের পথঘাট, স্টেশন আর মেট্রোতে গান করতেন মানু চাও। আবার হট প্যান্টস এবং লস কারায়্যসের মতো ব্যান্ডের সঙ্গে গান করার সুযোগও হয়েছিল তাঁর। নানা ভাষা ও বিচিত্র সুরভঙ্গি আয়ত্তে নিয়ে গাইতে গাইতে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। বহু দেশ মাতিয়ে তিনি এসেছেন বাংলাদেশে। গতকাল সোমবার দুপুরে ঢাকায় এসে পৌঁছান এই শিল্পী।
আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার অনুষ্ঠানবিষয়ক কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ প্রথম আলোকে জানান, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে রয়েছে মানু চাওয়ের একক কনসার্ট। আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার আয়োজনে এ কনসার্টে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশের ফরাসি দূতাবাস ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। অনুষ্ঠানটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
ভাই অ্যান্টনি চাও, চাচাতো ভাই সান্টি এবং কয়েক বন্ধুকে নিয়ে ১৯৮৭ সালে চাও গড়ে তুলেছিলেন গানের দল মানো নেগ্রা। ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল দলটি। বিশেষ করে ইউরোপে এ দল পেয়ে যায় একচেটিয়া খ্যাতি। ১৯৯৪ সালে মানো নেগ্রা ভেঙে যায়। এরপর দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকায় নতুন সব গান রেকর্ড করে কাটিয়ে দেন মানু। ১৯৯৮ সালে সেই গানগুলো নিয়ে ক্লানদেসতিনো নামে একটি অ্যালবাম প্রকাশ করেন। শুরুতে তেমন জনপ্রিয়তা না পেলেও একপর্যায়ে ফ্রান্সে সেই গানগুলো জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বিশেষ করে ‘বঙ্গো বং’ এবং ‘ক্লাসদেসতিনো’ গান দুটি। ১৯৯৯ সালে শ্রেষ্ঠ গানের অ্যালবাম হিসেবে ভিকটোয়াহে দ্য লা মুজিক অ্যাওয়ার্ড জিতে নেয় সেটি। বিশ্বব্যাপী ৫০ লাখের বেশি বিক্রি হয় সেটি। সহস্রাব্দের সন্ধিক্ষণে ঘরছাড়া ও অভিবাসীদের নিয়ে গান থাকায় মানুর অ্যালবামটি বিশ্ব পপ মিউজিকের গুরুত্বপূর্ণ গানের অ্যালবাম হয়ে ওঠে।
স্পেনীয় বংশোদ্ভূত ফরাসি শিল্পী মানু চাও স্পেনীয়, ফরাসি, ইংরেজি, ইতালীয়, গ্যালিসীয়, পর্তুগিজ ছাড়া আরও বেশ কয়েকটি ভাষায় গান করেন। খ্যাতিমান ব্রিটিশ সাংবাদিক নাইজেল উইলিয়ামসন এই শিল্পীকে নিয়ে লিখেছেন, ‘মানু চাওকে বব মারলে এবং জো স্ট্রামার উত্তরসূরি বললে ভুল হবে না।’ ঢাকায় মানুর কনসার্টটি সবার জন্য উন্মুক্ত।