কাঁদলেন আলাউদ্দীন আলী
চিত্রনায়ক ওমর সানীকে দেখে কাঁদলেন দেশের বরেণ্য গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক ও বাদ্যযন্ত্রশিল্পী আলাউদ্দীন আলী। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সাভারে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র বা সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজডে (সিআরপি) তাঁকে দেখতে যান চিত্রতারকা ওমর সানী, সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোর ও গীতিকার কবির বকুল। সেখানে তাঁরা আড়াই ঘণ্টা ছিলেন।
সিআরপি থেকে ফিরে এসে প্রথম আলোকে ওমর সানী বলেন, ‘কবির বকুল জানালেন, আলাউদ্দীন আলী ভাই আমাকে দেখতে চেয়েছেন। আমি ফ্রি ছিলাম। সকালেই সেখানে যাই। তিনি আমাকে দেখে অঝোরে কাঁদলেন। কেন কাঁদলেন, তা বলতে পারব না। হয়তো কোনো কষ্ট হচ্ছে। তাঁর সব কথা স্পষ্ট না। তিনি বেঁচে আছেন, এটাই বড় সান্ত্বনা। তাঁর সুস্থতার জন্য চেষ্টা করে যেতে হবে।’
ওমর সানী আরও বলেন, ‘শুনেছি তিনি নাকি সিআরপিকে নিয়ে লিখতে চান, দেশকে নিয়ে লিখতে চান। যেহেতু তা পারছেন না, তাই হয়তো কষ্ট পাচ্ছেন। কাঁদলেন।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আলাউদ্দীন আলীর স্ত্রী ফারজানা মিমি, মেয়ে আদ্রিতা আলাউদ্দীন রাজকন্যা, হাসপাতালের চিকিৎসক আর প্রশিক্ষকেরা।
গত ২২ জানুয়ারি রাতে বরেণ্য গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের মৃত্যুসংবাদ পাওয়ার পর বাড্ডার বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়েন আলাউদ্দীন আলী। তাঁকে দ্রুত রাজধানীর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) তাঁকে ভর্তি করা হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থা ক্রমেই খারাপ হতে থাকে। ওই সময় হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, মেকানিক্যাল ভেন্টিলেটর মেশিন যুক্ত করার পর আলাউদ্দীন আলীর শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থির আছে। এরপর তিনি জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করেছেন অনেক দিন।
৭৭ দিন হাসপাতালে চিকিৎসার পর ৮ এপ্রিল সকালে তিনি ছাড়া পান। এরপর তাঁকে ফিজিওথেরাপির জন্য সাভারে সিআরপিতে নিয়ে যাওয়া হয়।