আংটিবদল করলেন ব্রিটনি

দীর্ঘদিন প্রেম করছিলেন মার্কিন পপ তারকা ব্রিটনি স্পিয়ার্স। কিন্তু আইনি ঝামেলায় বিয়ে করতে পারছিলেন না। অবশেষে সাহস করে অগ্রসর হলেন তিনি। প্রেমিকের সঙ্গে আংটিবদল করলেন এই শিল্পী। তৃতীয়বারের মতো বিয়ে করতে যাচ্ছেন তিনি। তাঁর প্রেমিক স্যাম আসগারি অভিনেতা ও ফিটনেস প্রশিক্ষক।

৩৯ বছর বয়সী এই শিল্পী নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করে ভক্তদের এ আনন্দের সংবাদ জানিয়েছেন। সেখানে দেখা গেছে, স্যাম ব্রিটনির কাছে জানতে চাইছেন, আংটি পছন্দ হয়েছে কি না। জবাবে ব্রিটনি বললেন, ‘হ্যাঁ’। ছবিতে আঙুলের হীরার আংটি ক্যামেরার সামনে তুলে ধরেন গায়িকা। ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা ভিডিওতে অনামিকায় হীরার আংটি দেখিয়ে ব্রিটনি লিখেছেন, ‘বিশ্বাস হচ্ছে না।’ স্যাম তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে প্রথমে লিখেছেন, ‘বড় খবর আসছে।’ পরে তিনি ব্রিটনির হাতের আংটি দেখানো ছবি শেয়ার করেন।

ব্রিটনি ও স্যাম
ইনস্টাগ্রাম

ব্রিটনি স্পিয়ার্সের মুখপাত্র ব্র্যান্ডন কোহেন তাঁদের আংটিবদলের খবরটি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ‘এই যুগল দীর্ঘদিনের সম্পর্ককে আজ (১৩ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিলেন। ভক্তরা তাঁদের প্রতি যে সমর্থন ও ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন, তাতে দুজনই অভিভূত।’ যুগলের ছবি এবং ভিডিওর মন্তব্যের ঘর উপচে পড়ছে শুভকামনায়। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্যারিস হিলটন, উইলি গোমেজসহ ব্রিটনির কাছের বন্ধুরাও।

স্যাম আসগারি একজন অভিনেতা ও ফিটনেস প্রশিক্ষক
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

২০১৬ সালে একটি মিউজিক ভিডিওর সেটে ২৭ বছর বয়সী স্যামের সঙ্গে পরিচয় হয় ব্রিটনির। সেই থেকে বন্ধুত্ব ও প্রেম। স্যামের জন্ম ইরানে হলেও ১২ বছর বয়সে পাড়ি দেন যুক্তরাষ্ট্রে। চার বছর প্রেমের পরে বাগদান হলো তাঁদের। এর আগে ব্রিটনির দুবার বিয়ে হয়েছে। ২০০৪ সালে ছোটবেলার বন্ধু জ্যাসন আলেকজান্ডারকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়েটি বেশি দিন টেকেনি। একই বছর নৃত‌্যশিল্পী কেভিন ফেডারলিনকে বিয়ে করেন ব্রিটনি। এ সংসারে তাঁদের দুটি সন্তান রয়েছে। ২০০৭ সালে এ সংসারের ইতি টানেন এই গায়িকা।

ব্রিটনি স্পিয়ার্স
ছবি: রয়টার্স

প্রায় ১৩ বছর ধরে নিজের অভিভাবকত্ব ও সম্পদের দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন তাঁর বাবা। আইনগতভাবে ব্রিটনির বিয়ে ও সন্তান গ্রহণে বাধ্যবাধকতা ছিল। তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যের হুমকি বিবেচনায় তাঁর বাবা জেমি স্পিয়ার্স এসব বিধিনিষেধ আরোপ করে রেখেছিলেন। চলতি মাসের ২৯ তারিখ এ নিয়ে শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।