বাবাহীন কষ্টের দিনগুলোর গল্প শোনালেন প্রতীক হাসান
সময়ের অন্যতম ব্যস্ত সংগীতশিল্পী প্রতীক হাসান। বাবা একসময়ের খ্যাতনামা শিল্পী প্রয়াত খালিদ হাসান মিলু। তাঁর দুই সন্তান প্রীতম ও প্রতীক হাসান এ সময়ের শিল্পী। বাবার জনপ্রিয়তায় সন্তানদের চাপে থাকা নিয়ে প্রশ্ন এবং সংগীতজীবনের নানা বাঁকবদল নিয়ে সময় টেলিভিশনের তারকার সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন প্রতীক হাসান। জানিয়েছেন জীবনের গল্প। কথা বলেছেন ভাই প্রীতম হাসানকে নিয়েও।
তারকা শিল্পীর সন্তানদের মধ্যে একটু টানাপোড়েন থাকে। বাবার এত খ্যাতি, নাম-যশ ও জনপ্রিয়তা—সন্তানদের ওপরও মানুষের বিশেষ চাওয়া তৈরি হয়?
বিষয়টিকে কীভাবে দেখেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রতীক বলেন, ‘আমি বলব, একজন শিল্পী হিসেবে যেমন নিজেকে তৈরি করাটা দায়িত্বের মধ্যে পড়ে, কিন্তু এটাকে উপস্থাপন করার জন্য অনেক কাঠখড় পোহাতে হয়েছে। এখনো অনেক দিক থেকে হয়তো বাবাকে জীবনে কোনো দিন ছাপিয়ে যেতে পারব না, কিন্তু তারপরও ২০ বছর ধরে আমি কাজ করছি এবং আমি যত ভালো কাজই করি, দিন শেষে বাবার নামটা আসে। যদি কাজ কারও পছন্দ না হয়, সেটার জন্যও কটূক্তি শুনতে হয়। দিন শেষে আমি এটা মেনেই নিয়েছি এবং আমি আমার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এটা নিয়ে পার করতে চাই যে আমি এমন একজন মানুষের সন্তান, যাঁকে সারা পৃথিবীর মানুষ ভালোবাসে।’
পরিবারের বড় ছেলেদের দায়দায়িত্ব অনেক, কখনো কি যন্ত্রণাদায়ক মনে হয়েছে? উত্তরে গায়ক বলেন, ‘কিছু সময় যে রকম প্রীতম কাজ করছে; প্রীতমের তৈরি হওয়ার পেছনে আমার অনেক শ্রম আছে। কারণ, ওকে তৈরি করা, হাবিব ভাইয়ের হাতে তুলে দেওয়া বা ওকে প্রবেশ করানোর জন্য যতটুকু কাজ করা, প্রীতম হওয়ার জন্য যে জায়গাটা দেওয়া, ওকে কিন্তু সেই জায়গা আমি দিইনি, যেই জিনিস আমি টেনে নিয়ে আসছি।
আমি যে জিনিসটা ফেইস করেছি, নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যে কাঠখড় পোহাতে হয়, সেটা ওর একটু কম হয়েছে। ওর ওপর সেই প্রেশার ছিল না, আমার ওপর যেমনটা ছিল। যখন কোনো মিউজিক ডিরেক্টরের কাছে যেতাম, তখন সবাই আমার ভেতরে বাবাকে খুঁজত। এমন করে গাও, অমন করে, ওই ভঙ্গিমায় গাও। তো ওকে আমি সেই প্রেশারে রাখিনি।’