সবাইকে ছাড়িয়ে লিসা

লিসাএএফপি

‘রকস্টার’ প্রকাশ করে রীতিমতো ঝড় তুলেছিলেন ব্ল্যাকপিংক তারকা লিসা। আড়াই বছরের বিরতি ভেঙে গানটি প্রকাশ করেছেন তিনি। ২৮ জুন প্রকাশিত এই গানের কথা, সুর ও গায়কিতে মাদকতা ছড়িয়েছেন এই তারকা।

‘রকস্টার’–এর জন্য এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসে ‘সেরা কে–পপ’ শিল্পীর পুরস্কার বাগিয়ে নিলেন লিসা। গত বুধবার নিউইয়র্কের ইউবিএস অ্যারেনায় তাঁকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। এই বিভাগের পুরস্কারের দৌড়ে কারা ছিল না। বিটিএস তারকা জাংকুকের ‘সেভেন’, এনসিটি ড্রিমের ‘স্মুদি’, নিউজিনসের ‘সুপার শাই’, স্ট্রে কিডসের ‘লক’ ও টুমরো অ্যান্ড টুগেদারের ‘দেজা ভ্যু’কে পেছনে ফেলেছেন লিসা।

লিসা
শিল্পীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

সব ছাপিয়ে ‘রকস্টার’ গানকেই এগিয়ে রেখেছে পুরস্কার কর্তৃপক্ষ। পুরস্কারের জমকালো আসরে গানটি পরিবেশনও করেছেন লিসা। পাশাপাশি নতুন গান ‘নিউ উইমেন’ গেয়েছেন। ২০২২ সালে ‘লালিসা’ গানের জন্যও একই পুরস্কার পেয়েছিলেন লিসা। দ্বিতীয়বারের মতো সেরা কে–পপ অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিনি। তিনি প্রথম কোনো একক কে–পপ শিল্পী, যিনি দুইবার এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসে এই বিভাগে পুরস্কার পাওয়ার নজির গড়েছেন।

লিসা
শিল্পীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

‘লালিসা’ প্রকাশের আড়াই বছর পর ‘রকস্টার’ প্রকাশ করেন তিনি। পুরস্কার নেওয়ার পর লিসা বলেন, ‘“লালিসা” প্রকাশের পর “রকস্টার” দিয়ে আমার ফেরাটা স্মরণীয় হয়ে থাকল। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ভক্তদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমাকে এই পুরস্কার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই।’

সেরা কে–পপ ক্যাটাগরি ছাড়াও সেরা কোরিওগ্রাফি, সেরা শিল্প নির্দেশনা, সেরা সম্পাদনা ও সেরা পরিবেশনা ক্যাটাগরিতেও মনোনয়ন পেয়েছিলেন লিসা। এমটিভি অ্যাওয়ার্ডসে সেরা গ্রুপের পুরস্কার পেয়েছে বয় গ্রুপ সেভেনটিন। ২০১৯ সাল থেকে টানা চারবার এই পুরস্কার পেয়েছে বিটিএস। গত বছর পেয়েছে ব্ল্যাকপিংক।

লিসা
শিল্পীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

১৩ বছর বয়সে দক্ষিণ কোরিয়ায় এসেছেন থাইল্যান্ডের মেয়ে লিসা। ২০১৬ সালে কোরীয় ব্যান্ড ব্ল্যাকপিংকে যোগ দেন। ব্ল্যাকপিংকের গায়িকা হিসেবেই পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। তিনি কোরিয়ায়ই থিতু হয়েছেন।

আট বছরের ক্যারিয়ারে দুনিয়াজোড়া খ্যাতি পেয়েছেন। এশিয়া থেকে ইউরোপ—সবখানেই লিসার অনুরাগী ছড়িয়ে আছেন। ব্যান্ডের পাশাপাশি একক ক্যারিয়ারেও চমক দেখিয়েছেন ২৭ বছর বয়সী এই তারকা।

আরও পড়ুন