জ্যাকুলিনের পথ ধরে
ইউটিউবে মুক্তির পর রাতারাতি ঝড় তুলেছিল ‘মনিকা মাগে হিতে’। ছেলে-বুড়ো সবাই বুঁদ হয়েছিলেন শ্রীলঙ্কান গায়িকা ইয়োহানির কণ্ঠের জাদুতে। নিজের ভাগ্য পরীক্ষায় শ্রীলঙ্কান এই গায়িকা এসেছেন মুম্বাইয়ে। ইয়োহানি এখন ‘মায়ানগরী’র সুর, তাল, লয় বুঝে উঠতে ব্যস্ত। সংগীতের ক্ষেত্রে ভাষা যে কোনো অন্তরায় নয়, তা ইয়োহানির ‘মনিকা মাগে হিতে’ গানটি প্রমাণ করেছে। নানা ভাষাভাষীর মানুষকে একই সুরে যেন বেঁধেছিল গানটি। বিটাউনও মেতে উঠেছিল ‘মনিকা মাগে হিতে’র সুরের তালে। বলিউড তারকা সালমান খান থেকে শুরু অনেকই ইয়োহানির গানের প্রশংসা করেছিলেন।
ইয়োহানির সামনে যেন স্বপ্নের হাতছানি দিচ্ছিল মুম্বাই। তা সত্যি করতে জাদুনগরীতে এসেছেন তিনি। মুম্বাই আসার পর এক সাক্ষাৎকারে ইয়োহানি বলেন, ‘এই শহরকে ধীরে ধীরে বুঝে ওঠার চেষ্টা করছি। অনেকগুলো প্রজেক্ট নিয়ে কথাবার্তা চলছে। একটা নতুন গানও আসছে, ‘মনিকা মাগে হিতে’র হিন্দি সংস্করণ। থ্যাংক গড ছবির জন্য রেকর্ড করা হয়েছে গানটি। এ ছাড়া কয়েকজন শিল্পীর সঙ্গে যৌথভাবে কাজের পরিকল্পনা চলছে।’ শুধু কাজের ধরন নয়, মুম্বাইয়ের সবকিছু ধীরে ধীরে আপন করে নেওয়ার চেষ্টা করছেন ইয়োহানি। এই শ্রীলঙ্কান গায়িকা বলেছেন, ‘এখন আমি হিন্দি শেখার ওপর বেশি জোর দিচ্ছি। প্রতিদিন দুজন শিক্ষকের কাছে হিন্দি শিখছি। এখন মূলত হিন্দি উচ্চারণ রপ্ত করছি।’
হালে অনেক গায়িকাই নিয়মিত অভিনয় করছেন। বলিউডে এসে গানের সঙ্গে অভিনয়ের ক্ষেত্রেও নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করতে চান কি না, জানতে চাইলে ইয়োহানি বলেন, ‘অভিনয় নিয়ে এখনো ভাবিনি। এখানে এসেছি গায়িকা হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে। সংগীতই আমার সবকিছু। হিন্দি গানের ওপর দখল বাড়াচ্ছি। বলিউডের পুরোনো গান শুনছি। সংগীতে দশকের পর দশক ধরে কতটা বিবর্তন এসেছে, বোঝার চেষ্টা করছি।’ সাক্ষাৎকারে ভারতে নিজের পছন্দের শিল্পী নিয়েও কথা বলেছেন গায়িকা। ইয়োহানি বলেন, ‘বাদশাহর সঙ্গে গান গাইতে চাই। নেহা কক্করের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার পরিকল্পনা আছে। এ ছাড়া আলিয়া ভাটের জন্য গাওয়া আমার স্বপ্ন। আলিয়াকে খুব পছন্দ করি। রণবীর সিংয়ের সঙ্গেও র্যাপ গাইতে চাই।’
মুম্বাই আসার পর ইয়োহানি পরিবারকে খুব মিস করছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পরিবারের কথা মনে পড়লেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ি। সব আবেগ তখন সংগীতে উজাড় করে দিই।’ ইয়োহানির আগে শ্রীলঙ্কা থেকে বলিউডে এসে সাফল্যের উদাহরণ আছে জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের। মুম্বাইয়ে আসার আগে তাঁর পরামর্শ নিয়েছেন গায়িকা, ‘জ্যাকুলিনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম মুম্বাইতে আসব কি না। তিনি এখানে নির্দ্বিধায় চলে আসার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এ ছাড় অনেক বিষয়ে মতামত দিয়ে সাহায্য করেছেন তিনি। বলেছিলেন, মুম্বাই এসে নিজের স্বপ্ন সত্যি করাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে।’