শিরিনের ‘বাইন দুয়ারদি’
ঈদুল আজহা উপলক্ষে আসছে ‘পাঞ্জাবিওয়ালা’ গায়িকা শিরিনের নতুন আঞ্চলিক গান। আবদুল গফুর হালী রিচার্স সেন্টারের প্রযোজনায় চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় লেখা ‘বাইন দুয়ারদি’ গানটি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় ‘গফুর হালী’ ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হবে। গানটির গীতিকার ও সুরকার চট্টগ্রামের সংগীতজ্ঞ আবদুল গফুর হালী। সংগীত পরিচালনা করেছেন তানিম। চ্যানেলটির যাত্রা শুরু হয়েছিল শিরিনের ‘কালা’ গানটি দিয়ে।
আবদুল গফুর হালী রিসার্চ সেন্টারের সচিব নাসির উদ্দিন হায়দার বলেন, গফুর হালীর অমর সৃষ্টি ‘বাইন দুয়ারদি ন আইস্য তুঁই নিশির কালে’ গানটি সত্তরের দশকে শেফালী ঘোষের কণ্ঠে দারুণ জনপ্রিয় হয়েছিল। আবদুল গফুর হালী রিসার্চ সেন্টারের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আনোয়ারুল হকের পৃষ্ঠপোষকতায় গানটি নতুন সংগীতায়োজনে শিরিনের কণ্ঠে রেকর্ড করা হয়েছে। চট্টগ্রামের লোকসংগীতের প্রচার-প্রসারে রিসার্চ সেন্টারটি নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। আঞ্চলিক ভাষার চিরসবুজ অনেক গানকে ভিন্ন আমেজে পর্যায়ক্রমে শ্রোতাদের কাছে তুলে ধরা হবে।
গানটির কণ্ঠশিল্পী শিরিন বলেন, ‘আবদুল গফুর হালীর “পাঞ্জাবিওয়ালা”, “মনের বাগানে”গানগুলো গেয়ে আমার উত্থান। গফুর চাচা আমাকে খুব স্নেহ করতেন।
কিংবদন্তি শেফালী ঘোষ, কল্যাণী ঘোষের কণ্ঠে চার দশক ধরে তুমুল জনপ্রিয় গানগুলো গাওয়া সহজ কথা নয়। আমি চেষ্টা করেছি “বাইন দুয়ারদি ন আইস্য তুঁই নিশির কালে” গানটির মূল ঠিক রেখে ভিন্ন আমেজে গাইতে। আশা করি, এই গানে চট্টগ্রামের মাটির ঘ্রাণ পাবেন শ্রোতারা।’
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ও মাইজভান্ডারী গানের শিল্পী কল্যাণী ঘোষ বলেন, ‘আবদুল গফুর হালী রিসার্চ সেন্টার চট্টগ্রামের বিভিন্ন চিরসবুজ গানকে নতুনভাবে তুলে ধরার যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা খুবই সময়োপযোগী। শিরিনের মতো জনপ্রিয় শিল্পী আবারও চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গান কণ্ঠে তুলে নিয়েছেন। এটা বড় সুখবর। প্রায় অর্ধশত বছর আগের গানগুলো নতুন সংগীতায়োজনে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া আমাদের সবার কর্তব্য, এতে আঞ্চলিক ও মাইজভান্ডারী গানে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তা কিছুটা হলেও পূরণ হবে বলে মনে করি।’