সাদি মহম্মদের মৃত্যু নিয়ে যা বলছেন চিকিৎসক
একবুক কষ্ট-হাহাকার নিয়ে আত্মহত্যা করে অনন্তযাত্রায় বাংলাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদ। বুধবার নিজ বাসা থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন পরিবারের সদস্যরা। দ্রুতই নেওয়া হয় কাছের শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে যাওয়ার পর শিল্পীকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসা কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা তাঁকে রাত সাড়ে ৯টার দিকে এখানে পাই। যখন এখানে আসেন, তখন তাঁকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি আমরা। আত্মীয়স্বজনের কাছে জানতে পারি, উনি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নিজ বাসায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তাঁর গলার মধ্যেও ফাঁস দেওয়ার চিহ্ন পাই।’ এ সময় শরীরের কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না বলেও জানান চিকিৎসক। বলেন, ‘শুধু একজন মানুষ যখন আত্মহত্যা করেন, তখন যেই চিহ্ন তৈরি হয়, সেটি বাদে আর কোনো কিছুই তাঁর শরীরে পাওয়া যায়নি।’
পরিবার-বন্ধু সবাই বলছেন, মা হারানোর পর বিষণ্নতা ঝেঁকে বসেছিল শিল্পীর জীবনে। জীবনভর সংগীতের পেছনে ছুটে চলা মানুষটির নানা অপ্রাপ্তির ডায়েরি তৈরি হয়েছিল মনের মণিকোঠায়।
সব যন্ত্রণা ভুলতে স্বেচ্ছামৃত্যুর পথই বেছে নিলেন গুণী শিল্পী এবং সংগীতের গুরু সাদি মহম্মদ।
তাঁর মৃত্যুতে সংগীতাঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে মোহাম্মদপুর জামে মসজিদ কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বরেণ্য এই সংগীতশিল্পী।