‘অপরাধী’ গানের গায়ক আরমানের তারকা হওয়ার পরের গল্প

একটিমাত্র গান দিয়েই দর্শকমনে জায়গা করে নিয়েছেন তাঁরা। ‘বলব না গো আর কোনো দিন’, ‘টিকাটুলির মোড়ে একটা হল রয়েছে’, ‘অপরাধী’, ‘ও টুনির মা’, ‘নয়া দামান’ প্রকাশের পরই রাতারাতি শ্রোতাদের কাছে পরিচিত হয়ে ওঠেন গানগুলোর শিল্পীরা। রীতিমতো তারকা বনে যান তাঁরা। ভাইরাল হওয়া সেইসব শিল্পী এখন কেমন আছেন? কেমন যাচ্ছে আরমান আলিফের দিনকাল? পর্ব-৩

২০১৮ সালে ‘অপরাধী’ শিরোনামে গানটি গেয়ে রাতারাতি আলোচনায় আসেন তরুণ গায়ক আরমান আলিফ। প্রথম বাংলাদেশি কোনো বাংলা গান ইউটিউবে ১০ কোটি দর্শক ভিউয়ের রেকর্ড গড়েন। বর্তমানে এই গানের ইউটিউব ভিউ ৩৫ কোটির বেশি, যা দেশীয় বাংলা গানে রেকর্ড। গানটি ভাইরাল হওয়ার পর সংগীতাঙ্গনে অনেকে তাঁকে ‘অপরাধী আরমান’ নামে ডাকেন। এরপর আরও প্রায় ৫০টির বেশি গান প্রকাশিত হয়েছে আরমান আলিফের। কিন্তু একটিও ‘অপরাধী’ গানের মতো সাড়া ফেলতে পারেনি।

‘অপরাধী’—এই একটা গানই আরমান আলিফের ক্যারিয়ার বদলে দিয়েছিল। গানটিকেও ছাড়িয়ে যেতে চান। সেভাবেই এখন নিয়মিত গানে সময় দিচ্ছেন।

গত রোববার মুঠোফোনে আরমান বলেন, ‘একটা গান এতটা জনপ্রিয়তা দেবে, ভাবিনি। জনপ্রিয়তা পাবে ভেবে কাজটি করাও হয়নি। পরে তো গানটি আমাকে অবাক করেছে। সেই সময়টা অনেক কিছু বুঝতে পারিনি। অনেকটা অগোছালো একটা সময় ছিল বলা যায়। এখন নিজেকে গুছিয়ে এগোতে চাইছি। গান নিয়েই ভালো আছি। এখন চেষ্টা করছি, আরও ভালো গান করার। পরের গানগুলো আমি সেভাবেই করব, যেন প্রতিটি স্তরে পৌঁছাতে পারি।’

‘অপরাধী’ গান ভাইরাল হওয়ার পর আর পেছনে তাকাতে হয়নি এই গায়ককে। গানটি তাঁকে সংগীতাঙ্গনে যে ব্যস্ততা দিয়েছিল, এখনো সেই ব্যস্ততাই রয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে কেমন যাচ্ছে দিনকাল? জানতে চাইলে আরমান বলেন, ‘গানসহ সবকিছু মিলিয়ে খুবই ভালো আছি। এখন চেষ্টা করছি, যতটা ভালো আছি তার চেয়েও ভালো থাকতে। কারণ, আমরা তো সব সময়ই চেষ্টা করি আগের চেয়ে কীভাবে আরেকটু বেটার করা যায়। আমাদের গানগুলো যাঁরা শোনেন, তাঁদের প্রতিটি স্তরে গান নিয়ে যেতে চাই। সেভাবেই এখন গান নিয়ে ব্যস্ততা।’ এর মধ্যে তিনি নিয়মিত কনসার্ট করে যেতে চান। এ ছাড়া নিয়মিত সংগীতকে বোঝার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

‘অপরাধী’র পর ‘নেশা’, ‘পুরান জেলখানা’সহ বেশ কিছু গান দর্শকের প্রশংসা পায়। তিনি জানান, ঈদে ‘ফানুস’ ও ‘আমি কালো বলে’, ‘দেওয়ানা’ শিরোনামে বেশ কয়েকটি গান আসবে। গানগুলোর রেকর্ডিং, শুটিং নিয়েই আপাতত ব্যস্ত।

তিনি মনে করেন, ভাইরাল গানগুলো হঠাৎই দর্শকের কাছে জনপ্রিয়তা পায়। এখন বেশ কিছু ভালো গান করছেন। সেগুলো নিয়ে তিনি আশাবাদী, ‘আমি কখনোই হতাশ নই। নিয়মিত গান করছি। হয়তো আবার দর্শক “অপরাধী”র চেয়েও ভালো গান পেয়ে যাবে।’