কেউ গাইতে ডাকে না, তবে কি রাজনীতির শিকার কুমার শানু
তাঁর গান শুনে একটা প্রজন্ম বড় হয়েছে। কিশোর কুমার–পরবর্তী যুগে বলিউডে বলা যায় একচেটিয়া রাজত্ব করেছেন কুমার শানু। মুম্বাইয়ে গিয়ে দীর্ঘ সংগ্রামের পর ভাগ্যের শিকে ছিঁড়েছিল। আর ফিরে তাকাননি। কিন্তু নব্বইয়ের দশকের অন্যতম জনপ্রিয় এই প্লেব্যাক সিঙ্গারকে আর আগের মতো নিয়মিত গানে পাওয়া যায় না। কিন্তু কেন? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের
এখন পর্যন্ত আমার জার্নি খুব সুন্দর, ইন্ডাস্ট্রিতে সবাই আমাকে সম্মান করে। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, সবাই শ্রদ্ধা করে, ভালোবাসা দেয়, আমার গানও শোনে...আমি জানি না কেন তারা হিন্দি ছবিতে আরও গানের জন্য আমাকে ডাকে না।
নবাগত নায়ক হোক কিংবা শাহরুখ-সালমান—সবার হয়ে প্লেব্যাক করেছেন কুমার শানু। কিন্তু নতুনদের ভিড়ে এখন আর জায়গা হয় না তাঁর, ডাক আসে না গান গাওয়ার। বলিউড তাঁকে এখন সম্মান দেয় ঠিকই, কিন্তু কাজ দেয় না। সেই আক্ষেপই জাহির করলেন শানু।
গায়কের শেষ ফিচার ফিল্ম গানটি ছিল ২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দম লাগা কে হ্যায়সা’ ছবির ‘দর্দ করারা’। ২০১৮ সালে ‘সিম্বা’ সিনেমায় ‘আঁখ মারে’র রিমেকেও তাঁর কণ্ঠ শোনা গিয়েছিল। দুটি গানই সুপারহিট। তাহলে কেন শোনা যায় না তাঁর গান?
হিন্দুস্তান টাইমসকে গায়ক বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমার জার্নি খুব সুন্দর, ইন্ডাস্ট্রিতে সবাই আমাকে সম্মান করে। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, সবাই শ্রদ্ধা করে, ভালোবাসা দেয়, আমার গানও শোনে...আমি জানি না কেন তারা হিন্দি ছবিতে আরও গানের জন্য আমাকে ডাকে না।’
কিন্তু কেন এমনটা ঘটছে? তবে কি রাজনীতির শিকার কুমার শানু? তিনি বলেন, ‘এই প্রশ্ন তো আমার মনেও আসে যে আমি যখন তাদের সামনে থাকি, তখন তারা এত ভালোবাসা দেখাচ্ছে, অথচ আমাকে গান গাইতে ডাকছে না! এটা সত্যি কি না, জানি না। যা–ই হোক না কেন, তারা অবশ্যই আমাকে সম্মান দেয়।’
কুমার শানু সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে লাইভ শোতে পারফর্ম করেছেন, প্রতিটি কনসার্ট ছিল হাউসফুল। এই প্রজন্মের কাছেও তাঁর কণ্ঠস্বর গ্রহণযোগ্য বলে দাবি করেন গায়ক।
তিনি বলেন, ‘আমি গাইতে পারি, তা–ও জানি না কেন আমাকে দিয়ে গান করায় না। কেন এই প্রশ্নটা নির্মাতাদের মনে আসে না? আমি শো করছি, আমার ভক্ত-অনুসারী আছে। যেখানেই যাই, দেখি সব শো হাউসফুল...।’