বিজয় দিবসে নতুন করে নজরুলের ‘কারার ঐ লৌহ–কবাট’
কবি কাজী নজরুল ইসলামের কালজয়ী গান ‘কারার ঐ লৌহ–কবাট’ নতুন আঙ্গিকে পরিবেশনের উদ্যোগ নিয়েছে কয়্যার বাংলা। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে সকাল আটটায় গানটি কয়্যার বাংলার ফেসবুক পেজ, ইউটিউব ও সংগীতশিল্পী সজীবের ফেসবুক-ইউটিউবে প্রকাশিত হবে। প্রথম আলোকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন কয়্যার বাংলা ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা ও সংগীতশিল্পী তানভীর আলম সজীব।
নতুন সংগীতায়োজনে ‘কারার ঐ লৌহ-কবাট’ গানে কণ্ঠ দিয়েছেন সজীবসহ ১০ জন শিল্পী। তাঁদের মধ্যে আছেন মাহমুদুল হাসান, ইউসুফ, ঝুমা খন্দকার, নাদিয়া আরেফিন, সুকন্যা মজুমদার, মনীশ সরকার, ইসরাত জাহান, প্রিয়াঙ্কা ভট্টাচার্য, মৌমিতা মুমু প্রমুখ।
সজীব বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, গান এমন এক শক্তি, যা শুধু বিনোদন নয়, বরং এটি মানুষের মনে আশা ও সাহস জাগিয়ে তোলে। আমাদের নতুন প্রয়াস সংগীতের মাধ্যমে মানুষকে অনুপ্রাণিত করার। আমরা চাই, আমাদের গান দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটি শান্তি ও ঐক্যের বার্তা নিয়ে আসুক।’
বর্তমান প্রেক্ষাপটে সংগীতের গুরুত্ব জানিয়ে সজীব বলেন, সংগীতের শক্তি মানুষের মনে একধরনের ঐক্যের বার্তা পৌঁছে দিতে পারে। কয়্যার বাংলা বিশ্বাস করে, সংগীতই পারে এমন সময়েও মানুষের মধ্যে শান্তি এবং আশার আলো ছড়িয়ে দিতে।’
অ্যাক্যাপেলা ব্যান্ড কয়্যার বাংলা ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে শুধু সংগীত পরিবেশনা নয়, বরং সংগীতের মাধ্যমে সমাজ ও সংস্কৃতিকে এক নতুন মাত্রা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। এক যুগের বেশি সময় ধরে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেও ব্যান্ডটি নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে। এবার বিজয় দিবস উপলক্ষে ‘কারার ঐ লৌহ-কবাট’–এর বিশেষ পরিবেশনার উদ্যোগ নিয়েছে।
কয়্যার বাংলা ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা তানভীর আলম সজীব জানালেন, ২০১৩ সালে তাঁদের প্রথম অ্যালবাম ‘নতুন করে পাওয়া’ মুক্তি পায়, যা নজরুলসংগীতের সুর আর আধুনিক ধারার মধ্যে এক অনন্য সংযোগ স্থাপন করে। সে সময় অ্যালবামটির প্রকাশনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রখ্যাত গুণীজনেরা, যাঁরা কয়্যার বাংলার সংগীত নিয়ে পরিকল্পনার প্রশংসা করেন। এই দীর্ঘ সময়ে ব্যান্ডটি টেলিভিশনে শো, মঞ্চ পরিবেশনা এবং আন্তর্জাতিক সাহিত্য উৎসব হে ফেস্টিভ্যাল মঞ্চেও পরিবেশনা করেছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে সজীব বলেন, কয়্যার বাংলার সদস্যরা নিজেদের সৃজনশীলতা দিয়ে ব্যান্ডটির সংগীত ভিশনকে আরও সমৃদ্ধ করতে চান। তাঁদের স্বপ্ন, সংগীতের মাধ্যমে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে বিশ্বমঞ্চে পৌঁছে দেওয়া।