৫ শিল্পীর এক গান
গানে এমন বৈচিত্র্য খুবই কম দেখা যায়। এক গানের পাঁচটি আলাদা ভার্সন। গেয়েছেন পাঁচ শিল্পী। শুধু তা–ই নয়, এই গানগুলো দেশ–বিদেশের ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে গেয়েছেন গায়কেরা। কেউ যুক্তরাষ্ট্র, কেউ বাংলাদেশের রেকর্ডিং স্টুডিও থেকে গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন। তাঁরা হলেন এস আই টুটুল, ফিডব্যাক ব্যান্ডের রায়হান আল-হাসান, অবসকিউর ব্যান্ডের সাঈদ হাসান টিপু, পেন্টাগন ব্যান্ডের সুমন ও ফিডব্যাকের পুরোনো সদস্য রোমেল খান। তাঁদের দিয়ে একসঙ্গে গান করার পরিকল্পনা করেন সংগীত পরিচালক ও সুরকার তিতাস কাজী।
‘তোমাকে পাব বলে’ শিরোনামের এই গানে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কণ্ঠ দিয়েছেন এস আই টুটুল ও রোমেল খান। অন্য তিনজন বাংলাদেশ থেকে কণ্ঠ দেন। বড় পরিসরের এ আয়োজন নিয়ে কিছুটা চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েন তিতাস কাজী। তিনি বলেন, ‘গানটি রেকর্ড করাটা অনেক কঠিন ছিল। সবাইকে একসঙ্গে স্টুডিওতে পেলে সমস্যা হতো না; একই জায়গায় রেকর্ডিং করা হয়ে যেত। সেটা আরও ভালো হতো। কিন্তু দেশে ও বিদেশে সবাই থাকায় কিছুটা সীমাবদ্ধতা নিয়েই গানটির কাজ শেষ করেছি। মূলত এটি একটি পরীক্ষামূলক গান। এই গান নিয়ে খুশি। আশা করছি, ভক্তরা এটাকে গ্রহণ করবেন।’
একসঙ্গে একই গানে পাঁচ শিল্পী ও পাঁচটি ভার্সনে গাওয়া হবে, এমন প্রস্তাব পেয়ে কিছুটা দোটানায় ছিলেন অবসকিউর ব্যান্ডের টিপু। দীর্ঘদিন পরে গানটি দিয়ে ফেরা প্রসঙ্গে টিপু বলেন, ‘আমাকে যখন তিতাস ভাই বললেন, “একসঙ্গে পাঁচজনকে দিয়ে একটি গান করাতে চাই”, তার মধ্যে একজন আমি; তখন বলেছিলাম, এটা জগাখিচুড়ি হবে। আমি ভেটো দিয়েছিলাম। রাজি হইনি। পরে দেখলাম, গানটি নিয়ে অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। গানটির পাঁচজন গায়ক ও গানটি আলাদা করে পাঁচটি ভার্সনে রিলিজ হবে, এটা এককথায় ব্যতিক্রম। কারণ, পাঁচজনের গান করার আলাদা স্টাইল, গায়কি, নিজস্বতা অন্য রকম, দর্শক আলাদা। তখন ব্যাপারটাকে ইন্টারেস্টিং মনে হলো। একসঙ্গে এর আগেও আমরা গান করেছি। এবার এটাই মনে হলো, পাঁচজনের গাওয়া গানটি দারুণ হয়েছে।’
সংগীতশিল্পী সুমন বলেন, ‘একসঙ্গে সবাই গান করছি, এটার আলাদা পাঁচটি ভার্সন হচ্ছে। এর মানে এই নয়, এখানে কোনো প্রতিযোগিতা আছে। ভালো লাগা থেকেই গানটি করেছি। তিতাস ভাইকে সম্মান করি। তিনি মেধাবী একজন মিউজিশিয়ান। গানটি সব মিলিয়ে ভালো লেগেছে। দর্শকেরা আলাদা কিছু পাবেন, এটি নিশ্চিত। আর গানটি দিয়ে দীর্ঘদিন পর আমাদের পুনর্মিলনী হলো।’ গানটির কথা যৌথভাবে লিখেছেন সঞ্জয় মুখার্জি ও তিতাস কাজী। একই সঙ্গে গানটির কম্পোজিশন করেছেন তিতাস কাজী নিজেই। সংগীত আয়োজন করেছেন মীর মাসুম। তি