গানে ‘আপত্তিকর’ শব্দ ব্যবহার নিয়ে প্রতিবাদ, পিছু হটলেন গায়িকা
সেই কবে ২০১৬ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘লেমোনেড’। বিয়ন্সের সেই ষষ্ঠ অ্যালবামটি ব্যাপক ব্যবসায়িক সাফল্যের সঙ্গে পায় সমালোচকদের প্রশংসাও। ছয় বছর পর বিয়ন্সের বহুপ্রতীক্ষিত সপ্তম স্টুডিও অ্যালবাম ‘রেনেসাঁ’ মুক্তি পায় গত ২৯ জুলাই। কিন্তু মুক্তির পর থেকেই প্রবল তোপের মুখে পড়েন গায়িকা। অ্যালবামের ‘হিটেড’ শিরোনামের গানের একটি শব্দ সেরিব্রাল পালসি রোগাক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য অবমাননাকর—এই অভিযোগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গ্র্যামিজয়ী গায়িকাকে রীতিমতো তুলাধোনা করা হয়। ব্যাপক প্রতিবাদের মুখে অবশেষে গানটি থেকে বিতর্কিত শব্দগুলো বাদ দিচ্ছেন বিয়ন্সে। গানের কথায় বদলের কথা ভ্যারাইটিকে নিশ্চিত করেছেন গায়িকার টিম।
বিয়ন্সের গানে ‘স্পাজ’ শব্দের ব্যবহার নিয়ে মূলত প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। চিকিৎসাক্ষেত্রে ‘স্পাস্টিক’ শব্দটি ব্যবহৃত হয় মাংসপেশি, বিশেষ করে হাত-পা নিয়ন্ত্রণে অক্ষম ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে। বিয়ন্সের টিম এক বিবৃতিতে জানায়, ‘শব্দটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ব্যবহার করা হয়নি, এটা বদলানো হবে।’
গানটি প্রকাশের পর বিয়ন্সের কঠোর সমালোচনা করে প্রভাবশালী ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানে নিবন্ধ লিখেছিলেন লেখিকা ও প্রতিবন্ধী অধিকারকর্মী হানা ডিভনি। নিবন্ধে তিনি বলেন, গায়িকা হিসেবে বিয়ন্সে অনন্য। কিন্তু তাই বলে তাঁর বৈষম্যমূলক শব্দের ব্যবহার ক্ষমা করা যায় না। গানে শব্দটির ব্যবহার বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের গালে ‘থাপ্পড়’ বলেও অভিহিত করেন তিনি।
গানে ‘স্পাজ’ শব্দ ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক এই প্রথম নয়। এই কয়েক সপ্তাহ আগেই নিজের এই কাণ্ড করেছিলেন আরেক গ্র্যামিজয়ী গায়িকা লিজ্জো। তাঁর ‘গার্লস’ শিরোনামের গানে শব্দটি ব্যবহারের পর ব্যাপক বিতর্ক হয়েছিল। পরে কথা বদলে নতুন করে গানটি মুক্তি দেন তিনি।কিছুদিন আগে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিয়ন্সে জানিয়েছিলেন, মহামারির সময় পুরো পৃথিবী যখন থমকে গিয়েছিল, তখন অ্যালবামটির কাজ করেছেন তিনি। সে সময়টাকে জীবনের সেরা ‘সৃজনশীল সময়’ বলেও উল্লেখ করেন গায়িকা।