ফেসবুকে সৈয়দ আব্দুল হাদী ও শাকিলার নামে ফেক আইডি, কী বলছে পুলিশ
ফেসবুকে বরেণ্য সংগীতশিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদীর কোনো অ্যাকাউন্ট নেই। অথচ তাঁর নাম ও ছবিসংবলিত একটি অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিনিয়ত বিভিন্নজনকে ফেসবুকে বন্ধুত্ব গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে অনুরোধ পাঠানো হচ্ছে। বেশ কিছুদিন ধরেই এমনটা চলছে।
অন্যদিকে দেশের আরেক গুণী সংগীতশিল্পী শাকিলা স্মৃতির ফেসবুকে একটি অ্যাকাউন্ট থাকা সত্ত্বেও শাকিলা জাফর নামের আরেকটি আইডি থেকে বিনোদন অঙ্গনের বিভিন্নজনকে বন্ধুত্ব গড়ে তোলার জন্য অনুরোধ পাঠানো হচ্ছে! একটি চক্রের এমন আচরণে ভীষণ বিরক্ত ও বিব্রত দেশের গুণী এই দুই সংগীতশিল্পী।
সৈয়দ আব্দুল হাদী প্রথম আলোকে বললেন, ‘স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ফেসবুকে আমার কোনো অ্যাকাউন্ট নেই। অথচ কিছুদিন যাবৎ আমাকে শুনতে হচ্ছে, আমার নাকি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। অনেকে ফোনেও আমাকে এমনটা বলেছে। যে বা যারা এমনটা করছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কিছুদিন পরপরই তারকাদের নামে ভুয়া আইডি চালু করে গণহারে ফেসবুকে বন্ধুত্ব গড়ে তোলার অনুরোধ পাঠাচ্ছে—এ ধরনের খবর পাওয়া যায়। ববিতা, আলমগীর, চম্পা, সুচন্দা, দিলারা জামান, আসিফ আকবরসহ থেকে বেশ কয়েকজন তারকাকে নিয়ে ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট চালুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। তারকারা এসবে ভীষণ বিব্রত হন। তাঁদের কারও কারও মতে, এ ধরনের হয়রানি রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও কঠোর ভূমিকা পালন করা উচিত। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হলেই তবে ভুয়া আইডি থেকে কোনো ধরনের কর্মকাণ্ড করতে আর কেউ সাহস পাবে না।
বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সাইবার অপরাধ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার নাজমুল ইসলাম আজ শুক্রবার বিকেলে প্রথম আলোকে জানালেন, তাঁকেও শাকিলা জাফর নামের ফেসবুক আইডি থেকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো হয়। এরপর তিনি মেসেঞ্জারে কথা বলে তাঁকে ফোন করতে বললে তিনি ব্লক করে দেন।
নাজমুল ইসলাম বললেন, ‘আমি তখনই নিশ্চিত হই এটা ভুয়া আইডি। ভুয়া আইডি দিয়ে কেউ কাউকে প্রতিনিধিত্ব করলে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের ২৪ ধারা মোতাবেক তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এটা নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি চাইলে অভিযোগ করতে পারেন। ভুয়া আইডির পেছনে কে আছে, তা খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নেওয়ার সুযোগ আছে।’