বারবার সৌদির রিয়াদে যেতে চান জেমস

কনসার্ট শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন জেমসছবি : ভিডিও থেকে

গানে গানে সৌদিতে মুগ্ধতা ছড়ালেন জেমস। মুগ্ধ হলেন নিজেও। অকপটে প্রকাশ করলেন সেই মুগ্ধতার কথাও। জানালেন, বারবার সৌদির রিয়াদ যেতে চান। এভাবেই সবাইকে গান শোনাতে চান। প্রথমবারের মতো সৌদি আরবের কোনো কনসার্টে গাইলেন জেমস। গাওয়া শেষে সংবাদমাধ্যমের কাছে তাই প্রকাশ করলেন মুগ্ধতা।
সৌদি আরবের সাউদিয়া পার্কে আয়োজিত এই কনসার্টে হাজার হাজার দর্শক উপস্থিতি ছিলেন। প্রবাসী বাঙালিদের একজন জানান, ২৬ বছর আগে বাংলাদেশে তিনি জেমসের কনসার্ট উপভোগ করেছিলেন। ২৬ বছর পর আবার, তা–ও সৌদি আরবের মাঠে—এ যে অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা!

আরও পড়ুন
সংগীতশিল্পী জেমস
ছবি : প্রথম আলো

কেউ কেউ বলেছেন, তাঁরা জেমসকে এভাবে কাছে পেয়ে অনেক খুশি। কখনো ভাবতে পারেননি জেমসকে এভাবে কাছ থেকে দেখতে পাবেন। অনেক সুন্দর একটা আয়োজন। কেউ জেদ্দা থেকে রিয়াদে ছুটে এসেছেন। সারা দিন বসে আছেন, তারপরও কোনো ক্লান্তি নেই।

অনুষ্ঠান শেষে জেমস বলেন, ‘সৌদি আরবের মাটিতে প্রথম পা দিলাম। আমি আশা করিনি, এত সুন্দর আয়োজন হবে এবং এত মানুষ, এত দর্শক এখানে আছে। আমি মুগ্ধ রিয়াদে এসে। আমার অনুভূতি ঠিক ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। অদ্ভুত সুন্দর। রিয়াদে আমি বারবার আসব, ইনশা আল্লাহ।’

আরও পড়ুন
জেমস
ছবি: ফেসবুক

সৌদি সরকারের আমন্ত্রণে প্রথমবার রিয়াদে গেছেন জেমস। ২২ নভেম্বর রিয়াদে গান শোনান তিনি। আয়োজনটির নাম রাখা হয়েছে ‘বাংলাদেশ কালচার’, এটি সৌদি সরকারের আয়োজন রিয়াদ সিজনের অংশ।

রক্ষণশীলতার ঘেরাটোপ থেকে সৌদি সমাজকে বের করে আনতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। ভিশন–২০৩০ পরিকল্পনার আওতায় ২০১৮ সালে বিনোদনজগৎ থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়, খুলে দেওয়া হয় সৌদির সিনেমা হলগুলো। আয়োজন করা হয় চলচ্চিত্র উৎসব থেকে শুরু করে কনসার্ট, ফ্যাশন শো ইত্যাদির। এরই ধারাবাহিকতায় আরেকটি উদ্যোগ ‘রিয়াদ সিজন’।

আরও পড়ুন

সৌদির মিনিস্ট্রি অব মিডিয়ার আমন্ত্রণে এবারের রিয়াদ সিজনে অংশ নিচ্ছে নয়টি দেশ। এর মধ্যে আছে দক্ষিণ এশিয়ার তিন দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান। গত ১২ অক্টোবর শুরু হওয়া এ আয়োজন শেষ হবে ৩০ নভেম্বর। এ উৎসবের লক্ষ্য সৌদি আরব ও অংশগ্রহণকারী এশীয় দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়। উৎসবটি শীতকালীন বিনোদনের অন্যতম আয়োজন হিসেবে বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ করবে বলে আশা করছে সৌদি সরকার।

আমন্ত্রিত প্রতিটি দেশের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে এক সপ্তাহ। সেখানে এসব দেশের সংগীত, নৃত্য ও ঐতিহ্যবাহী খাবার তুলে ধরা হচ্ছে। আয়োজনের সপ্তম সপ্তাহকে ‘বাংলাদেশ উইক’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।