ফেরার জন্য তর সইছে না
গত বছরটা সংগীতপ্রেমীদের খুব একটা ভালো কাটেনি। করোনা মহামারির পর সবাই যখন প্রিয় তারকার গান সরাসরি শুনতে মুখিয়ে ছিলেন, তখনই অসুস্থতার কারণে কনসার্ট স্থগিত করেন একাধিক শিল্পী। প্রথমে জাস্টিন বিবার, এরপর গত জুলাইয়ে হঠাৎই ওয়ার্ল্ড ট্যুর স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানান আরেক কানাডীয় গায়ক শন মেন্ডেস। বহুল চর্চিত সেই ঘটনার পর নিজের শারীরিক অবস্থা, ক্যারিয়ার ইত্যাদি বিষয়ে কথা বলেছেন এ গায়ক।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল–এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি শন মেন্ডেস জানান, মানসিক স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিতেই ওয়ার্ল্ড ট্যুর স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। সেই সময়ের কথা মনে করে গায়ক আরও বলেন, তাঁর জন্য সিদ্ধান্তটা মোটেও সহজ ছিল না, ‘প্রক্রিয়াটি খুব কঠিন ছিল। বেশ কয়েকটি থেরাপি নিতে হয়েছিল, বোঝার চেষ্টা করছিলাম, আমার ভেতরে আসলে কী চলছে। তখন ঠিক করলাম, আমার উচিত নিজেকে পুরোপুরি সারিয়ে তোলা। আমার সঙ্গে যেসব মানুষ জড়িয়ে আছেন, তাঁদেরও বুঝতে শিখলাম।’
মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে শন আরও বলেন, ‘বিষয়টি অনেক বড়। গত এক কি দেড় বছরে বিষয়টি সম্পর্কে আমার চোখ খুলে গেছে। একটা সেরে ওঠার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেছি, এটা দারুণ একটা সফর ছিল।’
কঠিন সময়ে তাঁকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দেওয়ার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানান ২৪ বছর বয়সী এই গায়ক। তিনি বলেন, গত বছরের সংগ্রাম থেকে বুঝতে পেরেছেন, মানসিক স্বাস্থ্যই তাঁর জন্য প্রধান অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।
সাক্ষাৎকারে শন মেন্ডেস জানান, সুস্থ হয়ে দ্রুতই কনসার্টে ফিরবেন তিনি। ‘কনসার্ট স্থগিত করেছি মানেই যে আর নতুন গান তৈরি করতে পারব না, তা নয়। ভক্তদের সঙ্গে দেখা করতে তর সইছে না। আমি জানি, কনসার্টের জন্য আপনারা কতটা মুখিয়ে আছেন। প্রতিজ্ঞা করছি, সেরে উঠে যত শিগগির সম্ভব ফিরে আসব।’
দুই বছর প্রেমের পর কিউবান গায়িকা কামিলা কাবেলোর সঙ্গে শন মেন্ডেসের সম্পর্ক ভেঙে যায় ২০২১ সালের নভেম্বরে। তাঁর অসুস্থতার পেছনে বিচ্ছেদের ভূমিকা আছে কি না, সাক্ষাৎকারে সেটা অবশ্য বলেননি তিনি। শন মেন্ডেসকে ইদানীং দেখা গেছে ৫১ বছর বয়সী চিকিৎসক জসলিন মিরান্ডার সঙ্গে। ফুরফুরে মেজাজে তাঁদের হাইকে বের হতে দেখা গেছে। অনেক গণমাধ্যম এর মধ্যেই শন ও মিরান্ডাকে ‘নতুন জুটি’ হিসেবে অবিহিত করলেও বিষয়টি নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি।