১৩ বছর পর ঢাকায় গাইতে আসছি: কবীর সুমন

কবীর সুমনছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় সংগীতশিল্পী কবীর সুমন শেষবারের মতো ঢাকায় এসেছিলেন ২০০৯ সালের অক্টোবরে। সেবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে গান পরিবেশনে বাধা পেয়ে কলকাতায় ফিরেছিলেন। সেই অভিমান চেপে রেখে এক যুগ কেটে গেলেও ঢাকায় আসেননি। মাঝে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, বাংলাদেশে আর কখনো আসবেন না। দীর্ঘ অভিমান এবার ভেঙেছে, অক্টোবরে ঢাকায় আসছেন তিনি।
কবীর সুমন প্রথম আলোকে বলেন, ‘১৩ বছর পর ঢাকায় আসছি। আমি গান করতে আসছি।’ মাঝে এক যুগ না আসার কারণ হিসেবে অনেকে অভিমানকে সামনে আনলেও কবীর সুমন বলছেন, এক যুগে তাঁকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণই করা হয়নি।

১৫ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে তিন দিনব্যাপী ‘তোমাকে চাই-এর ৩০ বছর উদ্‌যাপন’ শিরোনামে এ আয়োজনে গান পরিবেশন করবেন কবীর সুমন। এর মধ্যে ১৫ অক্টোবর গাইবেন আধুনিক বাংলা গান, ১৮ অক্টোবর গাইবেন আধুনিক বাংলা খেয়াল ও ২১ অক্টোবর আবার আধুনিক গান নিয়ে দর্শকদের সামনে মঞ্চে উঠবেন।

কবীর সুমন।
ছবি: প্রথম আলো

অনুষ্ঠানের অন্যতম আয়োজক ইশতিয়াকুল ইসলাম খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকারি অনুমতি পাওয়ার জন্য আমরা আবেদন করেছি, আশা করছি শিগগিরই আমরা অনুমতি পেয়ে যাব।’ দর্শনীর বিনিময়ে টিকিট কেটে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করতে পারবেন দর্শকেরা। টিকিটের মূল্য এখনো নির্ধারণ করা হয়নি; শিগগিরই জানানো হবে।
১৯৯২ সালে ‘তোমাকে চাই’ নামের একটি গানের অ্যালবাম করে জনপ্রিয়তার শীর্ষে চলে আসেন কবীর সুমন। জীবনমুখী বাংলা গানের প্রবর্তক হিসেবে তাঁকেই গ্রহণ করে বাঙালি। গ্রহণ করেছেন দুই বাংলার শ্রোতারা। সেই থেকে অব্যাহত তাঁর সংগীতের চলার পথ। একসময় স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হন নিজের মতো করে। নন্দীগ্রাম আর সিঙ্গুর আন্দোলনে দাঁড়িয়েছিলেন মমতার পাশে।

তারপর যাদবপুর কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে সংসদ সদস্য হন। কিন্তু বনিবনা না হওয়ায় পরে তৃণমূল ছাড়েন। তাঁর জন্ম ভারতের ওডিশায়, ১৯৪৯ সালের ১৬ মার্চ।