বাঙালি গায়িকার ‘আজ কি রাত’ মাতাচ্ছে সারা ভারত
ভারতজুড়ে মাতাচ্ছে বলিউডের নতুন সিনেমার গান ‘আজ কি রাত’। ভাষা হিন্দি হলেও গানের কণ্ঠ দিয়েছেন বাঙালি শিল্পী। আর গানের তালে তালে সবুজ পোশাকে অনবদ্য নৃত্যশৈলী দেখিয়ে ভক্তদের হৃদয়ে ঝড় তুলছেন বলি অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া। দুই বছর ধরে এই নায়িকার নৃত্যশৈলীতে বুঁদ হয়ে আছেন দর্শক-ভক্তরা। তবে আজ কি রাত গানের আলাদাই আমেজ। সামাজিক মাধ্যমে ঝড় তুলেছে গানটি। সবখানেই ট্রেন্ডিং-এ স্ত্রী-২ সিনেমার এই গান।
বাঙালি শিল্পী মধুবন্তী। মিতিন মাসি-শুধু তোমারই জন্যের মতো ছবিতে করেছেন প্লেব্যাক। হিন্দি বলতে ‘হীরামান্ডি’ সিরিজে ‘নজরিয়া কি মারি’ গান। সেটিও বেশ সাড়া ফেলেছে। তবে আজ কি রাত গান ক্যারিয়ারে বড় হিট গানের তকমা এনে দিয়েছে বলে জানালেন শিল্পী।
মুম্বাই থেকে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের অনুভূতির গল্প শোনালেন মধুবন্তী। গায়িকা বলেন, এখনো পুরো বিষয়টিই ঠিকঠাক বুঝে উঠতে পারছি না। কীভাবে এই অনুভূতির ব্যাখ্যা করবেন, সেটিও জানি না। তবে এটি সংগীতজীবনে প্রথমবার ঘটল। গানটা যে শুধু ‘ট্রেন্ডিং’-এ আছে, তেমনটা নয়, বরং সারা দেশ থেকে খুদে বার্তা পাঠাচ্ছে মানুষ। এ এক দারুণ অনুভূতি।
প্রথমবারের মতো বিপুল দর্শকের কাছে পৌঁছে গেছেন মধুবন্তী।
এ প্রসঙ্গে গায়িকা বলেন, ‘এই ধরনের ছবি অনেক বেশি দর্শক-শ্রোতার কাছে পৌঁছায়। এর আগে আমি এমন জায়গা কখনো পাইনি। যদিও হীরামন্ডিও বাণিজ্যিকভাবে সফল। তবু সেটাও একটা নির্দিষ্ট শ্রেণির দর্শকের কাছে প্রশংসা কুড়িয়েছে। কিন্তু স্ত্রী ২ একেবারেই বলিউডের মূলধারার বাণিজ্যিক ছবি। সেই জায়গা থেকেই এমন একটা কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়া আমার ক্যারিয়ারে প্রথম। অনেক গানই হিট। কেউ নাচ পছন্দ করে, কেউ আবার ভিডিও। কিন্তু এ ক্ষেত্রে গানটা প্রাধান্য পেয়েছে। যাঁরা আসছেন ভিডিওটা দেখতে, তাঁরা কিন্তু পরে গানটা শুনতে বারবার ফিরে আসছেন। এটা যে হবে, আমরা আগে থেকে বুঝতে পারিনি। যদিও আশা করেছিলাম ভালো হবে, তবে এতটা ভালোবাসা পাব ভাবিনি।’
মধুবন্তী আরও বলেন, অনেক সময় ভিডিও থাকলে সত্যি গায়ক অথবা গায়িকার কণ্ঠটা চাপা পড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে তা হয়নি। তামান্না ম্যামের প্রশংসা তো করেছেন সবাই। কিন্তু গানটা নিয়েও যে এত কথা হচ্ছে, ভালো লাগছে। পাশাপাশি আরও ভালো লাগছে, একটি গান যে একক নারী কণ্ঠের জোরেও জনপ্রিয় হতে পারে, সেই বিষয়টাই এবার পরিষ্কার হলো। আসলে আজকাল বেশির ভাগ গানেই পুরুষ কণ্ঠের আধিক্য। এই গানটা যেন একটা সাম্যের বার্তা দিয়ে গেল, যোগ করেন গায়িকা।