বিশ্ব সংগীত দিবস এবং কিছু কথা

বাংলাদেশ স্কুল অব হারমনিতে পিয়ানো শিখছে তিতীর্ষা তৈমুর স্বায়ত্তআশরাফুল আলম

শিল্পের যে কয়টি সর্বজনীন বিষয় রয়েছে, তার মধ্যে সংগীত অন্যতম। প্রাণীমাত্রই চিত্তকে প্রসন্ন করে এমন স্বরসমূহের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ রচনাকে সংগীত বলে। পণ্ডিত শাঙ্গদেব তাঁর ‘সংগীত রত্নাকর’ গ্রন্থে বলেছেন, ‘গীতং বাদ্যং তথা নৃত্যং ত্রয়ং সংগীত মুচ্যতে’; অর্থাৎ গীত, বাদ্য ও নৃত্য এই তিনটি কলার সমন্বয়কেই সংগীত বলে। আর তাই তো এই ত্রয়ীর নির্যাস তথা আবেদনকে সমগ্র পৃথিবীর সংগীতপ্রেমীদের কাছে আরও জোরালো করতে এক অভাবনীয় চিন্তার প্রস্তাব দেন তৎকালীন ফরাসি মন্ত্রী জ্যাক ল্যাং; যেটা ১৯৮২ সালের অব্যবহিত সময়ের ভেতরই ১৯৮৫ সালের ২১ জুন রূপ নেয় এক অনবদ্য আন্দোলনে; যার মূলমন্ত্র ‘গান হতে হবে মুক্ত, সংশয়হীন’!
আন্দোলনের প্রাথমিক পর্যায়ে গোটা ইউরোপ এবং পরবর্তীকালে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে এই চেতনা। কালের পরিক্রমায় তাই বর্তমানে প্রতিবছর ২১ জুন পৃথিবীজুড়েই পালিত হয়ে আসছে ‘বিশ্ব সংগীত দিবস’। আন্তর্জাতিক পরিসরে স্বীকৃত এই মহান দিবস উপলক্ষে ফ্রান্সসহ পৃথিবীর অন্য অনেক দেশেই পালিত হয় সংগীতের বৈচিত্র্যময় সব অনুষ্ঠান, যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে সংগীতের বিভিন্ন ধারার প্রসার ও ব্যাপকতার উদ্দেশ্যে সর্বস্তরের মানুষকে শিল্পের এই মাধ্যমের আনন্দ ও উদ্দীপনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার মধ্য দিয়ে উৎসাহিত করা এবং আমাদের সুকুমার বৃত্তিগুলোর উন্মেষ ঘটানো।

‘ফেত দ্যঁ লা ম্যুজিক’ বা ‘বিশ্ব সংগীত দিবস’ উপলক্ষে বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে শুদ্ধ সংগীতচর্চার (পাশ্চাত্য ধ্রুপদি ধারা) ক্ষেত্রে প্রচলিত কিছু বাদ্যযন্ত্র প্রসঙ্গে আলোকপাত করা হলো একদম তৃণমূল পর্যায় থেকে।
১। হারমোনিয়াম বাজানো শিখলে কি পিয়ানো বাজানো শিখতে সুবিধা হয়?
২। পিয়ানো বাজানো শিখতে হলে কি নিজের পিয়ানো থাকা বাধ্যতামূলক?
৩। সাধারণ কি–বোর্ড অর্থাৎ ইয়ামাহা পিএসআরই ৩৭৩ বা সমমানের কি–বোর্ড) দিয়ে কি পিয়ানো বাজানো শেখা শুরু করা সম্ভব?
৪। পিয়ানো বাজানো কি স্টাফ নোটেশনের মাধ্যমেই শিখতে হয়?
৫। ক্লাসিক্যাল গিটার আর সাধারণ অ্যাকোস্টিক গিটারের মধ্যে পার্থক্য কী?
৬। সাধারণ অ্যাকোস্টিক গিটার দিয়ে কি ওয়েস্টার্ন ক্লাসিক্যাল মিউজিক (পাশ্চাত্য ধ্রুপদি ধারার সংগীত) শেখা সম্ভব?
৭। গিটার বাজানো শিখতে হলে কি স্টাফ নোটেশনের মাধ্যমে শেখা বাধ্যতামূলক?
৮। ওয়েস্টার্ন ক্লাসিক্যাল মিউজিক শিখলে কি অন্যান্য ধারার মিউজিক করা সম্ভব?
৯। উকুলেলে বাজানো শিখলে কি গিটার বাজানো শেখা সহজ হয়?
১০। বেহালা বাজানো শেখার ক্ষেত্রে কোন ধারা ভালো? প্রাচ্য নাকি পাশ্চাত্য (ইস্টার্ন নাকি ওয়েস্টার্ন)?
১১। স্টাফ নোটেশন দিয়েই কি বেহালা বাজানো শিখতে হবে?
এসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে আমি আমার সংগীতজীবনের ব্যক্তিগত উপলব্ধি এবং যাঁদের হাত ধরে আমার এই জগতে আসা, তাঁদের রেফারেন্স ব্যবহার করছি।

শিক্ষক অঞ্জনের কাছে বাদ্যযন্ত্র শিখছে বাংলাদেশ স্কুল অব হারমনি শিক্ষার্থীরা। ছবি : প্রথম আলো

প্রথমেই আসা যাক পিয়ানো প্রসঙ্গে
পিয়ানোর কথা বলতেই আমাদের চোখের সামনে যে দৃশ্য ভেসে ওঠে তা অনেকটা এ রকম—একটা বিশাল হলরুম, যার একটা কোণে ডালা ওঠানো একটা গ্র্যান্ড পিয়ানো। খুব সুন্দর পোশাক পরে (সিনেমার নায়ক–নায়িকাদের মতো) আনমনে বাজিয়ে যাচ্ছেন একজন।

সত্যি বলতে, পিয়ানো আমাদের দেশে একটু দুর্লভ হলেও দুষ্প্রাপ্য কোনো বিষয় নয় মোটেও। আর পিয়ানো বলতে যে শুধু গ্র্যান্ড পিয়ানোই বোঝায়, তা–ও কিন্তু নয়। আপরাইট পিয়ানো অথবা ভারটিক্যাল পিয়ানো হিসেবে পরিচিত পিয়ানোগুলো সাধারণ বাসা–বাড়িতেই ব্যবহারযোগ্য; জায়গাও কম লাগে। কিন্তু একটা আপরাইট পিয়ানো কেনার ক্রয়ক্ষমতাও আমাদের সমাজে অধিকাংশ মানুষের নেই। তাহলে উপায়? আমরা সাধারণ মানুষেরা কি পিয়ানো শিখতে পারব না? এ ক্ষেত্রে আমি প্রায়ই একটা উদাহরণ দিয়ে থাকি, ড্রাইভিং শিখতে যদি গাড়ি কিনতে হয়, তাহলে পিয়ানো বাজানো শিখতেও অবশ্যই পিয়ানো কিনতে হবে।

ক্লাস নেওয়ার মুহূর্তে বাংলাদেশ স্কুল অব হারমনির শিক্ষক শিল্পী তানভীর তরী ও এক শিক্ষার্থী
ছবি: প্রথম আলো

আশা করি, পাঠকেরা আমার মতামত পেয়ে গেছেন।
এবার আশা যাক এর মূল উত্তরে। আর সেটা হলো, হারমোনিয়াম বাজানো শিখলে কি পিয়ানো বাজানো শিখতে সুবিধা হয়? আদতে হারমোনিয়াম ও পিয়ানো দুটোই কি–বোর্ড গোত্রের বাদ্যযন্ত্র হলেও এদের বাজানোর ধরন ও ধারণে রয়েছে যোজন যোজন পার্থক্য। এমনকি এই দুটো যন্ত্রের শব্দ তৈরি করার প্রক্রিয়াও সম্পূর্ণ ভিন্ন। এ ছাড়া আকার-আকৃতি, অক্টেভের সংখ্যার মধ্যেও রয়েছে বিস্তর পার্থক্য। এ ক্ষেত্রে আমার পিয়ানো মেন্টর সাজ্জাদুল ফেরদৌস (সহপ্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক, বাংলাদেশ স্কুল অব হারমনি) একটা কথা বলতেন, হারমোনিয়াম বাজানো শিখলে পিয়ানো বাজানোর ক্ষেত্রে কোনো উপকার তো হয়ই না, বরং পিয়ানো বাজানো শেখাকালীন হারমোনিয়াম না বাজানোই উত্তম।

কারণ, পিয়ানোতে আঙুল চালানোর ধরন আর হারমোনিয়ামে আঙুল চালানোর ধরন সম্পূর্ণ আলাদা। এ ছাড়া দুই হাত দিয়ে বাজানোর বিষয় তো আছেই।

এবার আসা যাক কি–বোর্ড প্রসঙ্গে
অ্যাকোস্টিক পিয়ানো যথেষ্ট ব্যয়সাপেক্ষ বলে অনেকেই আজকাল ডিজিটাল পিয়ানো কিনে থাকেন। কিন্তু একটা মোটামুটি মানের ডিজিটাল পিয়ানোও নাই নাই করেও ৭০ হাজার টাকার বেশি দাম (অবকাঠামো ব্যতীত) পড়ে যায়, যেটা আমাদের অনেকের পক্ষেই বহন করা সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে বাসায় চর্চার জন্য একটা সাধারণ মানের কি–বোর্ড হলেই যথেষ্ট। তবে কি–বোর্ড কেনার সময় তাতে ‘টাচ সেন্সিটিভিটি’ অপশন আছে কি না, সেটা দেখে নেওয়া ভালো। বর্তমানে ২২ থেকে ২৬ হাজার টাকার মতো বাজেট রাখলে চর্চা করার জন্য ভালো কি–বোর্ড পাওয়া যায়। এ ছাড়া সেকেন্ড হ্যান্ড কি–বোর্ড দিয়েও শেখা সম্ভব। সাধারণ কি–বোর্ড দিয়েই পিয়ানো বাজানো একটা পর্যায় পর্যন্ত শেখা সম্ভব। এখানে আরও উল্লেখ করে রাখি যে আমার খুব ঘনিষ্ঠ দুই পিয়ানিস্টের কিন্তু নিজস্ব কোনো পিয়ানো নেই। কি–বোর্ড দিয়েই তাঁরা বাসায় চর্চা করে থাকেন।

এবার স্টাফ নোটেশন প্রসঙ্গ
অনেকভাবেই আপনি মিউজিক শেখা শুরু করতে পারেন। কিন্তু আপনি যদি সঠিক নিয়মে পিয়ানো অথবা কি–বোর্ড বাজানো শিখতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে স্টাফ নোটেশনের মাধ্যমেই পিয়ানো অথবা কি–বোর্ড বাজানো শিখতে হবে। পূর্ণাঙ্গ পিয়ানোবাদক হতে চাইলে স্টাফ নোটেশনের বিকল্প নেই। সত্যি বলতে আর কোনো বিকল্প আছে কি না, আমার ঠিক জানা নেই।

সাধারণ অ্যাকোস্টিক গিটার ও ক্লাসিক্যাল গিটার
আদতে এই দুটোই কিন্তু অ্যাকোস্টিক গিটার। জন্মসাল বিচারে ক্লাসিক্যাল গিটার অগ্রজ ও সাধারণ অ্যাকোস্টিক গিটার অনুজ। প্রাথমিকভাবে এই দুইয়ের ভেতর তেমন কোনো পার্থক্য দৃষ্টিগোচর না হলেও ভালো করে খেয়াল করলে এদের মধ্যকার পার্থক্যগুলো ধরা পড়ে। এদের মূল পার্থক্যগুলো হেড, ফ্রেটবোর্ড বা ফিঙ্গার বোর্ড, ব্রিজ ও স্ট্রিংয়ে।
ওয়েস্টার্ন ক্লাসিক্যাল ধারার মিউজিক করার জন্য ক্লাসিক্যাল গিটার ব্যবহার করা হয়ে থাকলেও সাধারণ স্টিল স্ট্রিং অ্যাকোস্টিক গিটার দিয়েও এই ধারার মিউজিক বাজানো শেখা সম্ভব। তবে ক্লাসিক্যাল গিটারে এ ধারার মিউজিক শুনতে অনেক বেশি ভালো লাগে এবং ভালোমতো বাজানোও যায় বলে মন্তব্য করেন তানভীর তরী (সহপ্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক, বাংলাদেশ স্কুল অব হারমনি)।
সত্যি বলতে ১৯৯৬ সালে গিটারিস্ট থিওটোনিয়াস গোমেজের হাত ধরে আমার সংগীতজীবনে প্রবেশ এবং স্টিল স্ট্রিং গিটার দিয়েই আমি শেখা শুরু করি। যদিও ওয়েস্টার্ন ক্লাসিক্যাল ধারার মিউজিক আমি শুরু করি ২০১১ সালে গিটারিস্ট ইফতেখার আনোয়ার ভাইয়ের কাছে।


গিটার বাজানোর জন্য স্টাফ নোটেশনের প্রয়োজনীয়তা

এ ক্ষেত্রে স্টাফ নোটেশন শেখা মোটেই বাধ্যতামূলক নয়। তবে ওয়েস্টার্ন ক্লাসিক্যাল ধারার (ফিঙ্গার স্টাইল) মিউজিক কেউ শিখতে চাইলে স্টাফ নোটেশন দিয়েই শিখতে হবে। অন্য কোনো পন্থা আমার জানা নেই এ ক্ষেত্রে। আর স্টাফ নোটেশন সহকারে ওয়েস্টার্ন ক্লাসিক্যাল ধারার মিউজিক শিখলে অবশ্যই পরবর্তীকালে অন্যান্য ধারার মিউজিকও করা যাবে অনায়াসই। এ ক্ষেত্রে বলে রাখা প্রয়োজন যে পৃথিবীর বিখ্যাত অনেক গিটারিস্টের ব্যাকগ্রাউন্ড কিন্তু ক্লাসিক্যাল। ২০০৭ সালে অল্প কয়েক মাসের জন্য আমার সুযোগ হয়েছিল গিটারিস্ট কমল ভাইয়ের (ওয়ারফেজ) কাছে গিটার বাজানো শেখার। মূলত স্ট্যান্ড অ্যালোন স্টাইলে কমল ভাই গিটার বাজালেও শেখানোর সময় তিনি গিটার ধরার ক্ষেত্রে ওয়েস্টার্ন ক্লাসিক্যাল ধারা অনুসরণ করতেন। এখানে আরও বলে রাখা প্রয়োজন, মূলত রক ধাঁচের মিউজিক করলেও কমল ভাই খুব ভালো ক্লাসিক্যাল ধারার (নিওক্লাসিক্যাল) মিউজিকও বাজাতে পারেন।

উকুলেলে বাজানো শেখার পর গিটারে আসতে চাইলে যত বেশি কাঠখড় পোড়াতে হবে, ঠিক ততটাই সুবিধা পাওয়া যাবে গিটার বাজানো শিখে উকুলেলে বাজানো শিখতে গেলে। এ ক্ষেত্রে একটা উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। কোনো স্থপতি যত সফলতার সঙ্গে ইন্টেরিয়র ডিজাইনার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে সক্ষম, ঠিক ততটাই কঠিন ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের পক্ষে পূর্ণাঙ্গ স্থপতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা। আশা করি বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন।

এবার আসা যাক বেহালা প্রসঙ্গে
বেহালা বাজানোর (ইস্টার্ন ও ওয়েস্টার্ন) দুটো ধারাই ব্যাপক সমাদৃত; তাই এ ক্ষেত্রে তর্ক-বিতর্কের কোনো সুযোগ নেই। যদিও বেহালাজাতীয় যন্ত্রের হদিস আজ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার বছর পূর্বে এই ভারতবর্ষেই পাওয়া যায়; তথাপি আজকের আধুনিক বেহালার সংস্করণটা যেহেতু ইউরোপ (ক্ৰেমনা, ইতালি) থেকে আমাদের কাছে এসেছে, তাই এ ক্ষেত্রে আমার ব্যক্তিগত অভিমত হচ্ছে, ওয়েস্টার্ন স্টাইলে শোল্ডার পজিশনে বেহালা বাজানো শেখা। এ ক্ষেত্রে ছোট একটা ঘটনার উল্লেখ করা যেতে পারে। ১৯৯৯ সালে পুরান ঢাকার বাফায় (বুলবুল ললিতকলা একাডেমি) ওস্তাদ আলাউদ্দিন মিয়ার কাছে আমার এই বিষয়ের হাতেখড়ি হয়। যদিও তখন বাফায় ইস্টার্ন ক্লাসিক্যাল ধারার মিউজিক শেখানো হতো, কিন্তু আমাদের ওস্তাদ সব সময় ওয়েস্টার্ন ধারায় বাজানো অনুসরণ করতে উৎসাহিত করতেন। অর্কেস্ট্রা মিউজিক নিয়ে অনেক কথা বলতেন।

বেহালায় আমরা তখন মূলত রাগসংগীত বাজালেও বেহালা ধরার ক্ষেত্রে শোল্ডার পজিশনকেই প্রাধান্য দেওয়া হতো। আর স্টাফ নোটেশনের মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ করলে যে আপনি ভারতীয় ধারার মিউজিক বাজাতে পারবেন না, এ ধরনের ভাবনা পুরোপুরি অমূলক। ভুলে যাবেন না, আমাদের বাঙালি জাতিসত্তার প্রাণপুরুষ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজেও কিন্তু পশ্চিমা ধারার সংগীতের বিশাল অনুরাগী ছিলেন; তাই বলে তাঁর করা সুর ও কম্পোজিশন কিন্তু বিদেশি হয়ে যায়নি মোটেই।
এখন এটা আপনার বিবেচ্য যে স্টাফ নোটেশনের মাধ্যমে বেহালা বাজানো শিখবেন নাকি ভারতীয় ধারায় বেহালা বাজানো শিখবেন।
এই পুরো বক্তব্যে যদি কোনো বিষয় নিয়ে দ্বিমত থেকে থাকে, অবশ্যই আমাকে জানাবেন। যেকোনো গঠনমূলক সমালোচনা অবশ্যই কাম্য। আর আমার এই লেখা পড়ে যদি কারও কোনো উপকার হয়, তবেই আমি সার্থক।
অগাস্টিন অঞ্জন ব্যাপারী
প্রিন্সিপাল ও প্রধান সমন্বয়ক
বাংলাদেশ স্কুল অব হারমনি