বাবা ও মায়ের কবরে শায়িত সাদি মহম্মদ
বাবা শহীদ সলিমউল্লাহ ও মা জেবুন্নেসা সলিমউল্লাহর কবরে শায়িত হলেন ছেলে সংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদ। আজ বৃহস্পতিবার জোহরের নামাজের পর মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তাঁর জানাজা পড়ানো হয়। পরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয়েছে।
সাদি মহম্মদ বসবাস করতেন তাজমহল রোডের বাড়িতে। সেই বাড়ির সামনে রাত থেকেই ভিড় বাড়তে থাকে। তৈরি হয় শোকের আবহ। আজ দাফন করার আগে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষেরা সাদি মহম্মদকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ছুটে এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন সংগীতশিল্পী, সংগীত অঙ্গন ও অভিনেতাদের অনেকে। খুরশিদ আলম, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, অণিমা রায়, অদিতি মহসীন, পীযূষ বড়ুয়া, লিলি ইসলাম, ফাহিম হোসেন চৌধুরী, সাজিদ আকবর, খায়রুল আলম সবুজ, কবির বকুল, অপি করিমসহ আরও অনেকে।
গতকাল বুধবার রাতে হঠাৎ বরেণ্য সংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের মৃত্যুতে স্তব্ধ হয়ে যায় সংগীতাঙ্গন। বিনয়ী, স্বল্পভাষী এই গুণী সংগীতশিল্পী যেমন গাইতেন ভালো, তেমনি গানের শিক্ষক হিসেবেও যথেষ্ট সুনাম ছিল তাঁর। দেশের অনেক তরুণ, প্রতিষ্ঠিত শিল্পীর গুরু ছিলেন তিনি। বছরের পর বছর গানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেছেন। তাঁর রয়েছে অসংখ্য অনুরাগী। সব ফেলে বুধবার রাতে চলে গেলেন অনন্তের পথে। পরিবারের সদস্য, পুলিশ এবং হাসপাতাল সূত্রে অনেকটা স্পষ্ট, আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিলেন এই শিল্পী। বুধবার (১৩ মার্চ) রাতে নিজ ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সাদি মহম্মদের ভাই নৃত্যশিল্পী শিবলী মহম্মদ গতকাল প্রথম আলোকে জানান, আজ (বুধবার) তানপুরা নিয়ে সংগীত চর্চা করছিলেন তিনি। সন্ধ্যার পর হঠাৎ ঘরের দরজা বন্ধ দেখেন। কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে তাঁর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, মায়ের মৃত্যুর পর থেকে তিনি অনেকটা একাকী হয়ে যান।