লিটন দাস চাইলেই বিরাট কোহলির মতো হতে পারেন, কিন্তু...
দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড মাইলস–এর সদস্য ও জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার হামিন আহমেদের মতে, লিটন দাস অসাধারণ একজন ব্যাটসম্যান। ভারতের বিরাট কোহলির সঙ্গে লিটনের মিল খুঁজে পান তিনি। চাইলেই কোহলির মতো বিশ্বমানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন লিটনও, এমনটাই জানালেন হামিন আহমেদ।
হামিন আহমেদ একসময় পেশাদার ক্রিকেট খেলতেন। আশির দশকে জাতীয় দলের জুনিয়র টিমেও ছিলেন তিনি। ১৯৮৬ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আইসিসি ট্রফি খেলতেও যান। ১৯৮৭ সালে ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে গানে নিয়মিত হন। বাবার কারণে তাঁদের তিন ভাইয়ের ক্রিকেটে আগ্রহ হয়। বড় ভাই ভিক্টোরিয়া ক্লাবে খেলতেন। তিনি শুরু করেছিলেন ন্যাশনাল স্পোর্টিং ক্লাবে। এরপর তিনি সূর্যতরুণ, আজাদ বয়েজ, আবাহনী ও মোহামেডানে খেলেছেন।
সাবেক পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে সময় পেলেই ক্রিকেট খেলা উপভোগ করেন হামিন আহমেদ। বিশ্বকাপ তো খুব একটা বাদ দেন না। বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের পর এবার বাংলাদেশ-ইংল্যান্ডের খেলাও বাসায় বসে উপভোগ করছেন তিনি।
আজ লিটন দাসের খেলার ধরনে আনন্দিত হামিন এভাবেই তাঁর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন, ‘মিস্টার লিটন দাস হ্যাজ ফাইনালি কাম গুড। সে যেভাবে ব্যাট করছে তাতে আমরা একটা ব্রিলিয়ান্ট সেঞ্চুরি দেখতেও পারি। তার কাছ থেকে ভালো খেলা দেখার আশায় এরপর আবার কতগুলো ম্যাচ যে অপেক্ষা করতে হবে, তা অনিশ্চিত, অজানা। আমার মতে, হঠাৎ সেঞ্চুরি করা নয়, ধারাবাহিকভাবে তার ভালো খেলার সব ধরনের যোগ্যতা আছে। কিন্তু লিটন দাস যদি নিজেকে রিকভার না করে, দলের সেরা একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে বিরাট কোহলির মতো অ্যাপ্লাই না করে, তাহলে সমস্যা। বিরাট কোহলির যা আছে ইন টার্মস অব শট, লিটনেরও তা–ই আছে। শুধু দুজনের মাইন্ডসেটে আকাশ–পাতাল তফাৎ আছে।’
কথায় কথায় হামিন আহমেদ জানালেন, ‘আফগানিস্তানের সঙ্গে ম্যাচটাও যদি খেয়াল করি, লিটন দাসের অবস্থা হচ্ছে, খেলতেছে খেলতেছে হঠাৎ ডাউন দ্য উইকেট গিয়ে... । প্রপার কোনো অ্যাপ্লিকেশন নেই! আমার কথা শুনে হয়তোবা অনেকে বলবেন, আপনার কি মাথা খারাপ হয়েছে, বিরাট কোহলির সঙ্গে লিটন দাসের তুলনা করছেন! আমি আবারও বলছি, লিটনের টাইমিং কোহলির টাইমিংয়ের মতোই। আর লিটনের হাতে কোহলির মতোই শর্ট আছে। দুজনের শারীরিক গড়ন এবং গঠনও একই। বিরাট কোহলির সঙ্গে তার সবচেয়ে বড় পার্থক্য অ্যাপ্লিকেশনে। ২২ গজের ক্রিজে ন্যানো সেকেন্ডের সিদ্ধান্তে অ্যাপ্লিকেশন।’
লিটন দাসের নিজেকে রিকভার করার চেষ্টা কতটা, তা নিয়ে আমার মাঝেমধ্যে প্রশ্ন জাগে। একটা উদাহরণ দিলে বুঝতে পারবেন। কিছুদিন আগে একটি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকেরা তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, আপনি বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। বাইরের দেশের খেলোয়াড়েরাও আপনার প্রশংসা করেন। কিন্তু আপনার অ্যাভারেজ রান এত কম কেন? উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘কত অ্যাভারেজ হলে আপনি খুশি হবেন!’
এমন অসাধারণ একটি প্রশ্নের উত্তর এভাবে দেওয়াটার মানে কী, আমার জানা নেই। এটা কিন্তু অসাধারণ একটা প্রশ্ন। আসলেই তো, তার অ্যাভারেজ রান তার নিজের যোগ্যতা ও ক্ষমতা অনুযায়ী অনেক অনেক কম। সে কবে একটা সেঞ্চুরি করবে, সেটা দেখতে চাই না। আরে ভাই, তুমি পারলে এভরি অল্টারনেট ডে–তে একটা ফিফটি করো। আমি চাই না, ১০ ম্যাচে একেবারে খারাপ করে তারপর একটা সেঞ্চুরি করো।’