বাস্তবে ফিরে এসে বুঝি, তিনি নেই এবং কী হারালাম
‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘হায় রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’খ্যাত এই গায়কের জন্মদিন ছিল গতকাল ৪ নভেম্বর। গানের মতোই তিনি এখনো ভক্ত–সহকর্মীদের মনে রয়ে গেছেন। বিশেষ এই দিনে তাঁকে স্মরণ করেছেন সংগীত অঙ্গনের অনেকেই। সিনেমায় একসময় জনপ্রিয় গানের জুটি ছিলেন এন্ড্রু কিশোর ও কনক চাঁপা। তাঁরা একসঙ্গে অনেক সিনেমায় গান করেছেন। জনপ্রিয় এই গায়কের জন্মদিনে আবেগঘন ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন কনক চাঁপা।
এই গায়ককে স্মরণ করে কনক চাঁপা লিখেছেন, ‘আমাদের এন্ড্রু কিশোর। আমি বলি গলিত সোনার নহর। তিনি দৈহিকভাবে কত বছর হয় চলে গেছেন, আমি তা গুনি না। ভাবতেই ভালো লাগে না যে তিনি নেই। তাঁর গান আকাশ, বাতাস, পাতাল, নদী, সাগরে ভাসে।’
এখনো দেশের শ্রোতারা নিয়মিত এন্ড্রু কিশোরের গান শোনেন। তাঁর গান নিয়ে গবেষণা হয়। ‘আমার তো মনে হয়, পৃথিবীর আনাচকানাচে যেখানেই বাংলা ভাষাভাষী আছেন, সেখানেই প্রতি সেকেন্ডেই কারও না কারও কাছে তাঁর গান বাজে, কেউ গায়, কেউ গুনগুন করে, কেউ শেখার চেষ্টা করে, কেউ তাঁকে, তাঁর গান, তাঁর কণ্ঠ নিয়ে গবেষণা করে।’ লিখেছেন কনক চাঁপা।
কনক চাঁপা আরও লিখেছেন, ‘আমি ভাবতেই চাই না তিনি নেই, তবু আমি মানুষ! তাঁর অনুপস্থিতি আমাকে বিষণ্ন করে। হঠাৎ আনমনা হয়ে ভাবি, একদিন তাঁকে মজার রান্না করে খাওয়াব, পরক্ষণেই সংবিৎ ফিরে পাই, বাস্তবে ফিরে এসে বুঝি তিনি নেই এবং কী হারালাম!’
এন্ড্রু কিশোরের চলচ্চিত্রের গানে দীর্ঘ চার দশকের বেশি সময়ের ক্যারিয়ার। দীর্ঘ এই ক্যারিয়ারে বাংলা, হিন্দিসহ বহু চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এন্ড্রু কিশোর। তাঁর চলে যাওয়া যেন অপূরণীয় ক্ষতি।
কনক চাঁপা লিখেছেন, ‘আবারও বলি, আমাদের একজন কিশোরদা ছিলেন, যিনি আমাদের অনেক দিয়েছেন কিন্তু আমরা কি তাঁকে সঠিক সম্মান দিয়েছি? স্টেডিয়ামে বিশাল করে একটা এন্ড্রু কিশোর নাইট করে রাতভর তাঁর গান পেট ভরে, হৃদয় ভরে শুনেছি! এখন কোটিবার উচ্চারিত হয় “বড্ড অপূরণীয় ক্ষতি” হয়ে গেল! তাতে তাঁর আর কিছুই আসে–যায় না। যায় কি?’ তিন বছর আগে ২০২০ সালে প্রয়াত হন গায়ক এন্ড্রু কিশোর।