অনলাইন-অফলাইনে কাউকে ছোট করা থেকে বিরত থাকুন: তাসরিফ খান
দেশের বন্যাদুর্গতদের পাশে সাহায্যের হাত নিয়ে সব সময় এগিয়ে আসেন তিনি। জুলাই আন্দোলনের শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের পাশে থেকেছেন। ‘রাজার রাজ্যে সবাই গোলাম’ শীর্ষক পুরোনো গানের সঙ্গে সে সময় প্রতিবাদও জানান। আন্দোলনে সমর্থনের কারণে গত জুলাইয়ে মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন বলে জানিয়েছিলেন বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী তাসরিফ খান। তাঁর মানবিকতার দৃষ্টান্ত দেখা যায় শিল্পীর সামাজিক মাধ্যমে ঢুঁ মারলেই। শুধু গানেই যে মানুষের হৃদয়ে স্থান করেছেন তাসরিফ সেটি কিন্তু নয়, মানবিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে আসছেন এই শিল্পী।
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পী মূলত ‘কুঁড়েঘর’ ব্যান্ডের প্রধান কণ্ঠশিল্পী। গানের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানবিক কাজ ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে সরব থাকেন তিনি। সম্প্রতি নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছেন এই জনপ্রিয় গায়ক। তিনি বলেছেন, কাউকে ইচ্ছা করে মনে আঘাত দিয়ে কেউ কোনো দিন বড় হতে পারবে না।
তাসরিফ আরও লিখেছেন, ‘কারণে–অকারণে কাউকে ইচ্ছাকৃতভাবে ছোট করলে নিজের অজান্তেই আপনি আপনার চারপাশের লোকজনের কাছে একজন ছোটলোক হিসেবে বিবেচিত হন। জেনে রাখুন, তারা আপনাকে করুণা করে বিধায় মুখের ওপরে ছোটলোক বলতে পারে না।’ পোস্টের পাশাপাশি কমেন্ট বক্সেও জুড়ে দিয়েছেন আরেকটি মন্তব্য। লিখেছেন, ‘হোক অনলাইনে কিংবা অফলাইনে, মানুষকে ছোট করা থেকে বিরত থাকুন। কাউকে ইচ্ছা করে মনে আঘাত দিয়ে আপনি কোনো দিন বড় হতে পারবেন না। কোনো দিনই না।’
মুহূর্তেই তাসরিফের মন্তব্য ভাইরাল সামাজিক মাধ্যমে। শিল্পীর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন তাঁর ভক্ত-অনুরাগীরা। একজন ভক্ত লিখেছেন, ‘হুম, ঠিক বলেছেন ভাই। ভালোবাসা অবিরাম, এগিয়ে যান, পাশে আছি ইনশা আল্লাহ। আপনার জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইল।’ আরেক ভক্ত লিখেছেন, ‘সত্যি কথা, এখনকার সমাজে কিছু কিছু মানুষ নিজেকে নিজে অনেক কিছু মনে করে।’
তাসরিফের গাওয়া প্রথম ‘মধ্যবিত্ত...’ গানটি রাতারাতি তাঁকে শ্রোতাদের কাছে নিয়ে যায়। অল্প সময়ে গানটি আড়াই লাখবার শেয়ার হয়। গানটিতে মধ্যবিত্তের মনের কথা ফুটে ওঠে। পরবর্তী সময়ে ‘তুমি মানে আমি...’, ‘ময়না রে...’, ‘তাই তো আইলাম সাগরে...’, ‘ব্যাচেলর...’ গানগুলো আলোচনায় আনে।