তাসরিফ–ভক্তদের জন্য দুঃসংবাদ
দুই দিন আগের কথা। রাতে খেয়ে কুলি করতে গিয়ে তরুণ জনপ্রিয় গায়ক তাসরিফ খান বুঝতে পারেন তিনি ঠিকমতো কুলি করতে পারছেন না। তার মুখ থেকে পানি অন্য দিক দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে। মুখের এক পাশে কিছুটা বাঁকা, সোজা হচ্ছিল না। কিছুটা ভয় পেয়ে যান তিনি। বাসায়ই বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। অবশেষে গতকাল জানতে পারলেন তিনি ‘ফেসিয়াল প্যারালাইসিস’-এ আক্রান্ত। প্রথম আলোকে এ তথ্য তিনি নিজে দিয়েছেন।
হাস্যোজ্জ্বল তাসরিফ খানের মনটা কিছুটা খারাপ। গতকাল গিয়েছিলেন চিকিৎসকের কাছে। চিকিৎসক তাঁর সামনে তেমন কিছু না বললেও মানসিকভাবে শক্তি জুগিয়েছেন। তাসরিফ বলেন, ‘মানসিকভাবে কিছুটা চিন্তিত রয়েছি। চিকিৎসক বলেছেন ফিজিওথেরাপিসহ বেশ কিছু চিকিৎসা নিতে হবে। এখন দুই মাস বিশ্রামে থাকতে হবে। কোনোভাবেই ঠান্ডা লাগানো যাবে না। চিকিৎসকদের ভাষায় এই রোগকে বলা হয় ‘ফেসিয়াল প্যারালাইসিস’। গাল, ঠোঁট ও নার্ভের কিছু অংশ কাজ করে না। এটা বাড়লে খুবই ভয়ের কথা। এ রকম রোগী অনেক আছেন। এখন নিয়মিত চিকিৎসাধীন থাকতে হবে। সবার কাছে দোয়া চাই।’
শারীরিক এই অসুস্থতা নিয়েই গতকাল শেষ কনসার্টে অংশ নিয়েছিলেন তাসরিফ। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই কনসার্টের পর আপাতত দুই মাস কোনো কাজে দেখা যাবে না তাঁকে। তাসরিফ বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন জেলায় আমার টানা শো ছিল। আমাদের গানের দলের অনেক কাজ ছিল। সবকিছু থেকে নিজেকে আপাতত সরিয়ে নিচ্ছি। ঈদের পর কাজে নিয়মিত হবো।’ তবে হঠাৎ করে এই রোগটি দেখা দিল, সেই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘এটা একদমই হঠাৎ করে। আজ চিকিৎসক বলেছেন, কোনো একটা ভাইরাস থেকে এই রোগটা দেখা দিয়েছে।’
গত বছর জুনে সিলেটের বন্যাদুর্গত বিপর্যস্ত মানুষদের জন্য আর্থিক সহায়তা চেয়ে ফেসবুকে লাইভ করেন তরুণ গায়ক তাসরিফ খান। সেই লাইভ মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। সে সময় কোটি টাকার বেশি ফান্ড সংগ্রহ করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আলোচনায় এসেছিলেন। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে ‘বাইশের বন্যা’ নামের একটি বই লিখেছেন তিনি। বর্তমানে নিজের গানের দল নিয়ে ব্যস্ত। পাশাপাশি মানুষের জন্য নানা কাজে দেখা যায় এই গায়ককে।