গুলশানের রেস্তোরাঁয় তরুণীকে দেখে মুগ্ধ গায়ক, স্ত্রীর কথামতো লিখলেন গান
প্রথম গান লিখেছেন সংগীতশিল্পী সাব্বির জামান। সেই গানের সুর-সংগীত ও কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি নিজেই। ‘ও মেয়ে’ শিরোনামে গানটি আগামী ৫ অক্টোবর মিউজিক ভিডিও আকারে তাঁরই নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘সাব্বির জামান’–এ মুক্তি পাবে।
গান গাওয়া ও সুর করার সুবাদে অনেক গীতিকারের সঙ্গে বসা হয়েছে সাব্বির জামানের। এত দিন অন্যের লেখা গানের সুর-সংগীত করে গেয়েছেন তিনি। এবার প্রথম নিজের লেখা গান সুর-সংগীত করে গাইলেন।
এ ব্যাপারে সাব্বির বলেন, ‘নিজে যেহেতু গান গাই, সুর ও সংগীত করি, অনেক গীতিকারের সঙ্গে বসা হয়, হয়েছে। লেখার ক্ষেত্রে অনেক গীতিকারকে সহযোগিতাও করেছি। সেই সাহস থেকে এবার নিজেই গান লিখে ফেলেছি।’
গানটি লেখা প্রসঙ্গে এই গায়ক জানান, সত্য একটা ঘটনা থেকে গানটি লেখা। বলেন, ‘বছর দেড় আগে গুলশানের একটি রেস্তোরাঁয় বসে ছিলাম। আমার উল্টো পাশে একটি মেয়ে বসা ছিল। অনেক মিষ্টি একটা মেয়ে। কিছুক্ষণ পর উঠে যায় মেয়েটি। মেয়েটিকে দেখে আমার নিজের মধ্যে একটা ধাক্কা লাগে। বাসায় ফিরে স্টুডিওতে বসে মেয়েটিকে নিয়ে এই গানটির মুখ ও একটা অন্তরা লিখে ফেলি। ওই দিন রাতেই সুর করি গানটির।’
অপরিচিত ওই মেয়েটিকে ভেবে গানটি করার ক্ষেত্রে তাঁর নিজের স্ত্রীই সহযোগিতা করেছেন বলে জানান সাব্বির। বলেন, ‘গানটির মুখটি সুর করার পর আমার স্ত্রীকে শোনাই। শুনে সে জানতে চায় ‘‘কার লেখা গান এটি? সুন্দর হয়েছে তো।’’
প্রথমে ভেবেছিলাম ঘটনাটি শোনার পর রাগ করতে পারে স্ত্রী। বলব না। পরে বললে, সে–ই নিজে থেকে বলে ‘‘স্টুডিওটির দরজা বন্ধ করে এক বসাতেই কাজটি শেষ করো। তা না হলে মেয়েটির ভাবনা মাথা থেকে চলে যেতে পারে। তখন আর গানটির লেখাও শেষ করতে পারবা না, সুরও করতে পারবা না। দারুণ একটি গান হবে এটি।’’ স্ত্রীর কথামতো ওই রাতে এক বসাতেই গানটির লেখা-সুর শেষ করে ফেলি।’
সাব্বির আরও বলেন, ‘একদমই রোমান্টিক একটি গান এটি। যে মেয়েটিকে নিয়ে এত মিষ্টি কথার, সুরের গান করলাম, অথচ মেয়েটি হয়তো কোনো দিনই বিষয়টি জানতে পারবে না। কারণ মেয়েটি নাম–ঠিকানা কিছুই আমার জানা নাই। ভাবলে বিষয়টি একধরনের মজারও।’
সম্প্রতি কক্সবাজারের লোকেশনে গানটির মিউজিক ভিডিওর শুটিং শেষ হয়েছে। ভিডিওতে সাব্বির নিজেও মডেল হয়েছেন। সঙ্গে আছেন সিনথিয়া। মিউজিক ভিডিও পরিচালনা করেছেন লতা আচার্য।
জানা গেছে, ইউটিউবের পাশাপাশি শিল্পীর নিজের ফেসবুক পেজেও প্রকাশিত হবে গানটি।