‘মনপুরা’র বালক দর্শক এবার সেলিমের ছবিতে
বাড়িতে খুবই কড়াকড়ি। হলে গিয়ে সিনেমা দেখার কথা বলাও যাবে না! বন্ধুর সঙ্গে লুকিয়ে প্রথম সিনেমা হলে ‘মনপুরা’ দেখতে গিয়েছিলেন বালক বাসার। সে বছর মনপুরাজ্বরে কাঁপছিল দেশ। প্রথম সিনেমা দিয়েই ইতিহাস গড়েছিলেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম। সেই পরিচালকের নতুন ছবি ‘কাজলরেখা’য় যুক্ত হয়েছেন সেদিনের বালক দর্শক আজকের খায়রুল বাসার। সেলিমের ‘গুণিন’–এর রেশ না ফুরাতেই নতুন ছবির শুটিং সেট নির্মাণ করা শুরু হয়ে গেছে। এপ্রিল মাসে শুরু হবে ‘কাজলরেখা’ ছবির শুটিং।
ইতিমধ্যে ঈদের নাটকের শুটিং শুরু করেছেন খায়রুল বাসার। ফেসবুকে একটি নাটকের দৃশ্য থেকে ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। সেখানে দেখা যাচ্ছে লুঙ্গি পরা বাসার আদার বস্তা বহন করছেন। ‘নয়নতারার গল্পগাথা’ নামের সেই নাটকে কাজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বাসার বলেন, ‘এখানে আমি এক শ্রমজীবী মানুষের ভূমিকায় অভিনয় করেছি। আমার সঙ্গে আছে সাফা, সে একটা হোটেলে কাজ করে। এখানে আমাদের প্রেম দেখা যাবে না। শ্রমজীবী মানুষের নানা সংকট নিয়ে নাটকটির গল্প।’
‘নেটওয়ার্কের বাইরে’ ছবিতে অভিনয় করে স্ট্রিমিং মাধ্যমের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে বাসারের। তাই টেলিভিশনের চেয়ে ওটিটির কাজে বেশি সময় দিতে চান এই তরুণ অভিনেতা। তবে ঈদে বেশ কয়েকটি টিভি নাটকে দেখা যাবে তাঁকে। সিনেমা প্রসঙ্গে বাসার বলেন, ‘আমার স্কুলে দেখা প্রথম ছবি “মনপুরা”, সে বছর “থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার”ও দেখেছিলাম। পরের বছরই তো কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকায় চলে আসি। এখন সিনেমায় কাজ করছি, যদিও হলের চেয়ে ওটিটির কাজ আমার বেশি ভালো লাগে। তবে ভালো গল্প পেলে যেকোনো জায়গায় কাজ করতে পারি।’
সম্প্রতি চরকিতে মুক্তি পেয়েছে নতুন সিরিজ ‘নিখোঁজ’। সেখানে অভিনয় করেছেন খায়রুল বাসার। নিজের অভিনীত এই সিরিজ চরকিতে দেখে মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন তিনি। বাসার বলেন, ‘এর আগে “ঊনলৌকিক”, “জাগো বাহে”, “শাটিকাপ” ভীষণ ভালো লেগেছিল। এগুলোর সঙ্গে “নিখোঁজ”কে মেলাব না। কিন্তু এর গল্প ও নির্মাণ অন্য রকম। সিরিজটা সবারই দেখা উচিত।’