প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে বিপাশা হায়াতের ওয়েব সিরিজের গল্প
গত বছরের কোনো এক সময়ে প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদন ভাবায় নন্দিত অভিনয়শিল্পী ও চিত্রকর বিপাশা হায়াতকে। এরপর সেই প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে একটি গল্পের সারসংক্ষেপ লেখেন তিনি। সেটিরই এখন চিত্রনাট্য তৈরির কাজ চলছে, যা শিগগিরই ওয়েব সিরিজ আকারে শুটিং হবে। ‘আলো ও আঁধারের গল্প’ নামের এই গল্পের চিত্রনাট্য লেখার কাজ জুন মাসের মধ্যে শেষ হবে। প্রথম আলোকে আজ খবরটি জানিয়েছেন বিপাশা হায়াত।
প্রথম আলোর কোন প্রতিবেদন পড়ে এই গল্প লিখেছেন জানতে চাইলে বিপাশা বললেন, ‘এখনই আমি তা ডিসক্লোজ করতে চাচ্ছি না। শুটিং শেষে প্রচার শুরুর আগে এ সম্পর্কে সবাই জানতে পারবেন।’
‘আলো ও আঁধারের গল্প’ ওয়েব সিরিজের অভিনয়ে কারা কারা থাকবেন এবং পরিচালক কে হবেন, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। চিত্রনাট্য চূড়ান্ত হওয়ার পরই এসব নিয়ে ভাবা হবে বলে জানালেন ওয়েব সিরিজের প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল।
আড়াই বছর পর এ মাসের শুরুতে নিউইয়র্ক থেকে ঢাকায় আসেন বিপাশা হায়াত। তাঁর এবারের আসার একমাত্র কারণ পেইন্টিং এক্সিবিশন। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রদর্শনী চললেও কাল ২৪ এপ্রিল ঢাকা থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশে আবার যাত্রা করবেন। এবার কোনো নাটকে অভিনয়ের খবর নেই তাঁর। লেখালেখির খবরটাই দিলেন। প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজ লিখছেন বিপাশা। তাঁর গল্প ও চিত্রনাট্যে তৈরি হচ্ছে ওয়েব সিরিজ ‘আলো ও আঁধারের গল্প’।
ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য গল্প লেখার প্রসঙ্গ উঠতেই বিপাশা প্রথম আলোকে, ‘আমার কাছে মনে হয়, আমি যেখানেই স্ক্রিপ্টিং করি, সেটা লজিক্যালি করাটাই আসল কথা। যে কথাটা বলার চেষ্টা আছে বা যে গল্পটা বলার চেষ্টা আছে, সেটা সব জায়গায় একইভাবে বলতে পারতে হবে। আমি কোনো প্ল্যাটফর্মের আলাদা বৈশিষ্ট্যে বিশ্বাস করি না। আমার মনে হয়, যেটা করতে হবে, সেটা জেনেবুঝে করতে হবে। যদি মানুষের জন্য করা হয়, তাহলে বলাটা ইমপর্ট্যান্ট, গল্প যেভাবে ডিমান্ড করে, সেভাবেই বলতে হবে। টেলিভিশনের জন্য লিখলেও হয়তো আমি একইভাবে লিখতাম। লেখার ক্ষেত্রে আমি আলাদাভাবে চিন্তা করি না।’
সবাইকে তো বলতে শুনি, ওটিটি একটা ভিন্ন মিডিয়াম। এমন প্রসঙ্গ তুলতেই বিপাশা বললেন, ‘এটা সত্যি ওটিটি ভিন্ন একটা মিডিয়াম। কিন্তু ওটিটি মানে এমন নয় যে মানুষ শুধু থ্রিলারই দেখবে। এটা একটা ভুল ধারণা। আমি মনে করি, সিম্পলভাবে একটা গল্প বলতে জানতে হবে। একটা নাটক লেখার সময় আমরা যে ট্রিকটা অবলম্বন করি, তা হচ্ছে মানুষকে কীভাবে গল্পটা শোনানো যায়, এই তো। মানুষ যেন মনোযোগ দিয়ে গল্প বলাটা শোনে। যখন একটি বাচ্চা গল্প বলে, আমরা কিন্তু খুব মনোযোগ দিয়ে শুনি। কারণ, বাচ্চাটা বেশ ইন্টারেস্টিং ওয়েতে গল্পটা বলে। সুতরাং কতটা ইন্টারেস্টিং ওয়েতে গল্পটা উপস্থাপন করা যায়, সেটা ইম্পর্ট্যান্ট। এখানে সত্যি আর কিছুই ম্যাটার করছে না, এটা ওটিটি, নাকি অন্য কিছু। কারণ, যদি সে রকম হতো, তাহলে ওটিটিতে চমৎকার সব ক্ল্যাসিক, ডকুমেন্টারি ও ড্রামা জনরার যেসব সিরিজ আছে, কিছুই থাকত না।’
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার শাকিল বলেন, পাঁচ পর্বে ওয়েব সিরিজটি তৈরি হবে। জুনের প্রথম দিকে ‘আলো ও আঁধারের গল্প’ সিরিজের শুটিং শুরু হবে।