পরী–ইমরানের সিরিজ দেখে কী বললেন ভারতীয় সমালোচক
মুক্তির পর অনম বিশ্বাসের সিরিজ ‘রঙিলা কিতাব’-এর প্রশংসা করেছেন অনেক দর্শক। কিঙ্কর আহসানের একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে গত বৃহস্পতিবার রাতে সিরিজটি মুক্তি পেয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। সিরিজটি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সমালোচক সাগরনীল কথা বলেছেন তাঁর ইউটিউব চ্যানেল ‘আর্টিস্টিক সেভেন্থ সেন্স’-এ।
সিরিজের গল্পের প্রশংসা করেছেন সাগরনীল।
এ ছাড়া রোমান্স ও রোমাঞ্চের মিশেলে যেভাবে সিরিজটি তৈরি করেছেন, সেটারও প্রশংসা করেছেন তিনি। তবে তাঁকে সবচেয়ে অবাক করেছে সিরিজটির অ্যাকশন। তাঁর ভাষ্যে, ‘এখানে খুব ভালো অ্যাকশন রয়েছে, যেটা আমাকে অবাক করেছে। বাংলা সিরিজে কিন্তু এমন অ্যাকশন দেখা যায় না।
যিনিই অ্যাকশন দৃশ্যের ডিজাইন করেছেন, ভালো করেছেন। অ্যাকশনগুলো বাস্তবঘেঁষা রাখা হয়েছে, দৃশ্যগুলোর জন্য শিল্পীরা পরিশ্রম করেছেন; সেটা দেখলেই বুঝতে পারবেন।’
সাগরনীল মনে করেন, অ্যাকশন এই সিরিজে এসেছে গল্পের প্রয়োজনে; সেটা তুলেও ধরা হয়েছে সেভাবেই। জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। এই অ্যাকশনের জন্যই সিরিজটি তাঁর ভালো লেগেছে বলেও জানান সাগরনীল।
সিরিজে মোস্তাফিজুর নূর ইমরানের অভিনয়ও মুগ্ধ করেছে এই সমালোচককে। তিনি বলেন, ‘তিনি যে দারুণ অভিনয় করেন জানতাম। এ সিরিজে যে তিনি দারুণ কাজ করবেন, সেটাও অনুমান করেছিলাম, সেটা তিনি পর্দায় করে দেখিয়েছেন।
তিনি সাধারণত প্রধান চরিত্র পান না, এই সিরিজ পেয়ে খুবই ভালো কাজে লাগিয়েছেন। তাঁর অভিনয় দেখে মজা পেয়েছি।’
সিরিজে অন্তঃসত্ত্বা নারীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন পরীমনি। তাঁর অভিনয় নিয়ে সাগরনীলের ভাষ্য, ‘পরীমনি নিজের জায়গায় ভালো কাজ করেছেন। এক্সট্রা অর্ডিনারি আমি বলব না, শেষ পর্বের কিছু দৃশ্য তিনি খুবই ভালো করেছেন। বাকি সময়েও চরিত্রের প্রয়োজন অনুযায়ী করেছেন।’
ভালো লাগলেও সিরিজটির কিছু নেতিবাচক দিকও তুলে ধরেছেন সাগরনীল। তাঁর মতে, এ সিরিজের কিছু বিষয় আগে থেকেই অনুমান করা হয়। এ ছাড়া শেষটা আরও ভালো হতে পারত। ‘শেষের আবেগ দর্শককে ছুঁয়ে যাবে। আমারও ভালো লেগেছে। তবে এটা অন্য লেভেলে চলে যেত, যদি একটা পেছনের গল্প যোগ করা হতো।’