নায়িকা শাবানার মতো সেলাই করতে করতে ফ্যাক্টরি দিয়া দিমু...
‘একটা সেলাই মেশিন কিনে দেন, নায়িকা শাবানার মতো সেলাই করতে করতে ফ্যাক্টরি দিয়া দিমু’—হাসতে হাসতেই মালতী তাঁর স্বামীর কাছে আবদার করেন। হাসিখুশিতেই চলছিল মালতীদের সংসারে। সেই হাসি যেন হঠাৎ বিষাদে মিলিয়ে যায়। এরপরে শ্বাসরুদ্ধকর এক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয় মালতীকে।
এ সংলাপেই ট্রেলারে ধরা পড়লেন মালতী চরিত্রের অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী।
দীর্ঘ অপেক্ষার পরে আজ ‘প্রিয় মালতী’ সিনেমাটির ট্রেলার প্রকাশ পায়। নাটক, সিরিজের এই অভিনেত্রী ভক্তদের কাছে ধরা দিলেন নতুন এক রূপে। ১৫ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো দেশের সিনেমা হলে আসছেন তিনি। সমাজের আর দশটা নিম্নমধ্যবিত্ত দম্পতির মতো সংসারজীবনের স্বপ্ন বুনছিলেন। এর মধ্যে আগুন লাগার ঘটনা আমূল পরিবর্তন করে দেয় তাদের জীবন।
ট্রেলারে দেখা যায়, একটি অগ্নিদুর্ঘটনায় স্বামীকে হারানোর পরে তাঁর লাশ খুঁজে পাওয়া যায় না। মেলে না সরকারি সহযোগিতা। এই নিয়ে জীবন ও জীবিকার সংগ্রামে নামতে হয় মালতীকে। সত্য ঘটনা অবলম্বনে সিনেমাটি পর্দায় তুলে এনেছেন শঙ্খদাস গুপ্ত। এটি তাঁর ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমা।
এর আগে শঙ্খদাশ গুপ্ত জানান, সিনেমায় মালতী চরিত্রটি সংগ্রামের। চরিত্রটিকে সামাজিক, অর্থনৈতিক, মানসিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। দেশের অনেক নারীর জীবনেই এমন ঘটনা আছে। জীবনসংগ্রামের পাশাপাশি প্রচলিত কিছু নিয়মকেও প্রশ্ন করেছেন তিনি। ছবিটি প্রযোজনা করেছে ফ্রেম পার সেকেন্ড ও ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি।
সিনেমা নিয়ে পরিচালক বলেন, ‘সিনেমার গল্পটি সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত।
সত্য যেমন কঠিন, সিনেমার বিভিন্ন মুহূর্তও তেমন কঠিন ও সমস্যার। মালতীর সমস্যা-সংগ্রামগুলো শুধু তার একার নয়, এগুলো দেশের মানুষের সমস্যা-সংগ্রাম। অন্তঃসত্ত্বা মালতীকে বিশৃঙ্খল এই শহরে শ্বশুরবাড়ি, সমাজ এবং ধর্মীয় রীতিনীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়। এর পাশাপাশি আমি প্রশ্ন করতে চেয়েছি, একজন মানুষের অস্তিত্ব কি ডেথ সার্টিফিকেট ও ময়নাতদন্ত রিপোর্টের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে?’