নিজেকে আড়ালে রাখতে ভালোবাসেন প্রাচী

প্রাচী দেশাই। ইনস্টাগ্রাম থেকে

পর্দায় খুব একটা দেখা যায় না অভিনেত্রী প্রাচী দেশাইকে। কিন্তু পর্দায় এলে তিনি অনায়াসে সবার নজর কাড়েন। তাঁকে শেষ দেখা গেছে ওটিটির পর্দায়। জি-ফাইভের ‘সাইলেন্স ২’ ছবিতে পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের ব্যক্তিত্বের বিষয়ে কিছু খোলাসা করেছেন তিনি।

প্রাচী দেশাই। ইনস্টাগ্রাম থেকে

‘রক অন’, ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন মুম্বাই’, ‘বোল বচ্চন’, ‘এক ভিলেন’-এর মতো সফল ছবির নায়িকা ছিলেন প্রাচী। এসব ছবিতে তাঁর অভিনয় রীতিমতো প্রশংসিত হয়েছে।

পর্দার বাইরে প্রাচী কেমন? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, ‘আমি গোপনীয়তা পছন্দ করি। মানুষ হিসেবে আমি অন্তর্মুখী। নিজেকে সবার থেকে আড়ালে রাখতে আমি ভালোবাসি। একান্তে সময় কাটাতে পছন্দ করি।’

‘সাইলেন্স ২’ ছবির পোস্টার। আইএমডিবি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খুব একটা সক্রিয় নন প্রাচী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমি সক্রিয় থাকতে চাই না। অনেক সময় আমাকে আমার বন্ধুবান্ধবেরা বলেছে যে ইনস্টাগ্রামে আমাকে আরও সক্রিয় হতে হবে। আমি পার্টিতে যেতে পছন্দ করি না। আসলে আমি নিজের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসি। তাই এসব আমার পছন্দ হয় না।’

অভিনয় প্রসঙ্গে প্রাচী বলেছেন, ‘গত কয়েক বছর খুব একটা কাজ করছি না। কারণ, একই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে করতে আমি হাঁপিয়ে গিয়েছিলাম।

প্রাচী দেশাই। ইনস্টাগ্রাম থেকে

আমার কাছে যখন ভালো ভালো প্রকল্পের প্রস্তাব এল, তখন মহামারি শুরু হয়ে গেল। সে জন্য সবাইকেই দুই বছরের বিরতি নিতে হয়েছিল।’ ‘সাইলেন্স’ ও ‘সাইলেন্স ২’-তে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত এই বলিউড অভিনেত্রী।

তিনি বলেছেন, ‘মহামারির সময় ও তার পর থেকে ওটিটি বিনোদন দুনিয়ায় অনেক বদল এনেছে। লেখক, পরিচালক, নতুন শিল্পীদের জন্য অনেক সুযোগ করে দিয়েছে ওটিটি। এমনকি ওটিটির কল্যাণে মনোজ বাজপেয়ী, বিজয় ভার্মার মতো তুখোড় অভিনেতাদের ক্যারিয়ারেও অনেক বদল এসেছে।

আরও পড়ুন

“সাইলেন্স”-এর দুই কিস্তি আমাকে নিজের সীমাবদ্ধতা ভেঙে এগোনোর পথ তৈরি করে দিয়েছে। ব্যতিক্রমী কিছু করার সুযোগ দিয়েছে।’ ২০০৬ সালে একতা কাপুরের কসম সে ধারাবাহিকের মাধ্যমে প্রাচী অভিনয়জীবন শুরু করেছিলেন। ২০০৮ সালে রক অন ছিল বড় পর্দায় তাঁর মুক্তি পাওয়া প্রথম কাজ।