মা–বাবার অভিনয় ও নির্মাণ দেখে বড় হয়েছি

চতুর্থ শ্রেণি থেকে আমি ও আমার বোন টাপুর এখানে পড়াশোনা করছি। এখন আমি একাদশ শ্রেণিতে পড়ি। পাহাড়ঘেরা জায়গাটি খুব সুন্দর, ঠান্ডা। ভালোই লাগে।

নির্মাতা অনম বিশ্বাস আঙ্কেল মায়ের (গোলাম ফরিদা ছন্দা) সঙ্গে কথা বলেছেন। তখনো আমি কালিম্পংয়ে ছিলাম, অনম আঙ্কেলের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে, উনি আমাকে চরিত্রটা বুঝিয়ে দিয়েছেন। চরিত্রটা চোখ দিয়ে সবকিছু সরাতে পারে। জুন–জুলাইয়ের দিকে ছুটিতে ঢাকায় ফিরেছিলাম, তখন সিরিজটির শুটিং করেছি।

তখন খুব গরম ছিল। পূর্বাচল এলাকায় দুই দিন শুটিং করেছি। জীবনে প্রথমবার এ ধরনের চরিত্র করেছি, ফলে কাজটা আমার জন্য কঠিন ছিল। অনম আঙ্কেল, মা ও বোনের পরামর্শ পেয়েছি।

গত সপ্তাহে দেখেছি। সিরিজের কনসেপ্টটা দারুণ।

আমি যখন কালিম্পংয়ে থাকি, তখন পড়াশোনাকে গুরুত্ব দিই। আর ছুটিতে বাংলাদেশে ফিরে কাজ করি, কাজের সময় কাজকেই গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করি।

অনেক ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানায় সহপাঠীরা। আমার নতুন কোনো কাজ এলে দেখে।

নির্মাতা গৌতম কৈরী আঙ্কেলও মায়ের সঙ্গে কথা বলেন, পরে চরিত্রটিতে কাজের সুযোগ পাই আমি। চরিত্রটা খুব শক্তিশালী, কাজটা করে আমার খুব ভালো লেগেছে। অনম আঙ্কেল আর গৌতম আঙ্কেলকে ধন্যবাদ।

ছোটবেলায় মা (ছন্দা) আর বাবার (নির্মাতা সতীর্থ রহমান) অভিনয় ও নির্মাণ দেখে বড় হয়েছি। ছোটবেলা থেকেই আমার অভিনয়ের আগ্রহ তৈরি হয়েছে। বড় বড় শিল্পীর সঙ্গে কাজের সুযোগ পাই, এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। আমি নতুন নতুন চরিত্র খুব উপভোগ করি। অভিনয়টাই করে যেতে চাই।

একদম। এটা প্রতিদিনই হয়। ভাইরাস সিরিজের শুটিংয়ের সেটে টাপুরও ছিল। ও বাইরে ছিল, আমি ভেতরে পোশাক বদলাতে গিয়েছি। অনম আঙ্কেল টাপুরকে দেখে বলেছেন, ‘টুপুর এসো।’ তখন ও (টাপুর) বলে, ‘আমি টাপুর।’

২০১৬ সালে বাবার (পরিচালক সতীর্থ রহমান) পরিচালনায় খোলস টেলিফিল্মে প্রথমবার অভিনয় করি।