‘একটি খোলা জানালা’ কি পারল প্রত্যাশা মেটাতে?

‘একটি খোলা জানালা’য় তাসনিয়া ফারিণ। বিঞ্জের সৌজন্যে

‘একটি খোলা জানালা’ মাত্র ৫১ মিনিটের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। ৪ সেপ্টেম্বর মুক্তি পায় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বিঞ্জে। পরে এটিকে বিঞ্জের অফিশিয়াল চ্যানেল থেকে ইউটিউবেও উন্মুক্ত করা হয়।

‘একটি খোলা জানালা’র পোস্টার
ছবি: বিঞ্জের ফেসবুক পেজ থেকে

ভিকি জাহেদের কাজ মানেই কিছু না কিছু চমক। থ্রিলারধর্মী ব্যতিক্রমী কাজের জন্যে ইতিমধ্যেই তিনি নির্মাতা হিসেবে জনপ্রিয়। তাই দর্শকের প্রত্যাশাও থাকে তাঁর নতুন আসা প্রতিটি কাজ নিয়ে। মুক্তির আগেই ‘একটি খোলা জানালা’ নিয়েও দর্শকের তুমুল আগ্রহ ছিল। তবে দর্শকের এই চাহিদা কি মেটাতে পেরেছেন নির্মাতা?

‘একটি খোলা জানালা’ হরর-থ্রিলার ঘরানার শর্টফিল্ম। কেশবপুর নামের একটি জায়গায় একের পর এক নার্স খুন হতে থাকে। পুলিশ কোনো ধারণা করতে পারে না কে বা কারা এই খুনের সঙ্গে জড়িত।

কেউ মনে করছে, অনেক দিন পর হয়তো ফিরে এসেছে ভয়ংকর গোরখাদক খলিলুল্লাহ। নানাভাবে আতঙ্ক ছড়াতে থাকে শহরে। এর মধ্যে একের পর এক খুন হয়ে যায় সাতজন নার্স!

একনজরে
স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা: ‘একটি খোলা জানালা’
স্ট্রিমিং: বিঞ্জ
জনরা: হরর-থ্রিলার
পরিচালক: ভিকি জাহেদ
অভিনয়ে: তাসনিয়া ফারিণ, সালহা খানম নাদিয়া, ফারিহা শামস সেওতি

দুই নার্স মিতু ও শিউলি এক রোগীর বাসায় দুই শিফটে ডিউটি করে। একদিন শিফট পরিবর্তনের সময় নামে তুমুল বৃষ্টি। রোগীর বাসায় আটকা পড়ে দুজন। এদিকে খবর আসে, পুলিশ নাকি সন্দেহভাজন একজনকে ঘুরতে দেখেছে ওই এলাকায়ই। সেই ঝড়ের রাতে কী হয়? খুনি কি সে রাতেও নার্সদের খুন করতে আসে?

‘একটি খোলা জানালা’কে হরর–থ্রিলার বলা হলেও এখানে ভৌতিক আবহের ঘাটতি ছিল বেশ। সিরিয়াল কিলিং মুখ্য গল্প হলেও খুনের এমন কোনো দৃশ্য দেখানো হয়নি যা ভয় ধরিয়ে দিতে পারে। গল্প যেভাবে শুরু হয়েছিল, এরপর অনেক জায়গায় চাইলেই কয়েকটা টুইস্ট আনা যেত। কাহিনির এক জায়গা থেকে অন্য জায়গার পরিবর্তনে খাপছাড়া ভাব ছিল স্পষ্ট।

‘একটি খোলা জানালা’র দৃশ্য। বিঞ্জের সৌজন্যে

যদিও শেষ দৃশ্যে একটা ভালো প্লট টুইস্ট রাখা হয়েছে। তবে প্রথম দিকে চরিত্র নির্মাণে পরিচালক আরেকটু যত্নবান হলে শেষ দিকটা দারুণ হতে পারত।

‘একটি খোলা জানালা’র প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন তাসনিয়া ফারিণ। এ ধরনের চরিত্রে প্রথম অভিনয় করলেন তিনি। তবে দর্শকের মন জয় করতে পারেননি। তাঁর কাছে দর্শকের প্রত্যাশা ছিল আরও বেশি। পার্শ্বচরিত্রে সালহা খানম নাদিয়ার অভিনয়ও ছিল সাধারণ। ফারিহা শামস সেওতির চরিত্রটি বেশ রহস্যজনক ছিল।

‘একটি খোলা জানালা’র দৃশ্য। বিঞ্জের সৌজন্যে

তবে শেষ পর্যন্ত চরিত্রটি ফুটে ওঠার আগেই যেন হারিয়ে যায়। তবে চোখে লেগেছে নার্সদের অতিরিক্ত মেকআপ। সাদামাটা কাহিনির আবহের সঙ্গে দুই নার্সের সাজ বড্ড বেমানান।

‘একটি খোলা জানালা’ মুক্তির আগে ট্রেলার দিয়েই আলোচনা তৈরি করতে পেরেছিল। বিশেষত ওয়ান নাইট, ওয়ান লোকেশন থ্রিলার নিয়ে দর্শকের আগ্রহ ছিল। গল্পটিও মোটের ওপর খারাপ ছিল না। তবে চরিত্রের বুননে কোথাও বাহুল্য মনে হয়েছে। মনে হয়েছে, একটু বেশি তাড়াহুড়া করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন

হরর–থ্রিলার গল্পে যে গতি থাকতে হয়, তা আনতেও কিছু কিছু জায়গায়  ব্যর্থ হয়েছেন পরিচালক। তাই ছবিটি শেষ হওয়ার পরও মনে হয়, আরেকটু ভালো তো হতেই পারত!