চাঁদরাতে চমকে ভরা ফারুকীর সিনেমা
দীর্ঘদিন পর মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সিনেমায় চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর পুত্র শুদ্ধ, সংগীতশিল্পী জেফার রহমানের অভিষেক কিংবা নৃত্যশিল্পী সামিনা হোসেন প্রেমা ও মেয়ে রাইয়ের অভিনয়—এমন বহু চমক নিয়ে মুক্তি পাচ্ছে চরকি অরিজিনাল সিনেমা লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী।
চরকির ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ প্রকল্পের সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। গত বৃহস্পতিবার রাতে গুলশানের এক রেস্তোরাঁয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নির্মাতা জানান, চাঁদরাতেই চরকিতে আসছে সিনেমাটি।
কোন ভাবনা থেকে সিনেমাটি নির্মাণ করছেন, এমন প্রশ্নে পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘আমার প্রিয় একটা কাজ হচ্ছে মানুষের মনের ভেতরে ছিপ ফেলে দেখা, কী কী ধরা পড়ে সেখানে। ছোট-বড়, তুচ্ছ-গুরুত্বপূর্ণ—সবই আমাকে নাড়া দেয়। মনোগামীতে অনেক দিন পর নারী-পুরুষ সম্পর্কের কিছু দিক নিয়ে এই রকম ছিপ ফেলার সুযোগ পেয়েছি।’
পরিচালকের ভাষ্যে, ‘ব্যাচেলর ছবিতে ব্যাচেলর জীবনের কিছু দিক কোনো রকম রাখঢাক ছাড়া দেখাতে পেরেছিলাম। এখানে বিবাহিত ও প্রবাহিত জীবনের কিছু দিক কোনো সুইট কোটিং ছাড়া দেখানোর সুযোগ পেয়েছি।’
ফারুকীর টেলিভিশন সিনেমায় দেখা গেছে চঞ্চলকে, বহু নাটকেও কাজ করেছেন তাঁরা। চঞ্চলকে নিয়ে মনোগামী সিনেমার ঘোষণা ছিল প্রথম চমক। এরপর তাঁর বিপরীতে জেফারকে নিয়ে আরেক চমক দেখালেন নির্মাতা ফারুকী। এবার প্রথম কোনো সিনেমায় পাওয়া যাবে জেফারকে।
শিল্পীদের নিয়ে ফারুকী বলেন, ‘চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে আমার কাজের অভিজ্ঞতা তো বহু পুরোনো। এখানেও একই রকম অপ্রতিরোধ্য তিনি। এই ধরনের চরিত্র কম করার ফলে একটা দারুণ ফ্রেশনেস তিনি নিয়ে এসেছেন তাঁর অভিনয়ে। জেফারকে আমরা সংগীতশিল্পী হিসেবে চিনি। এখানে তাঁকে অচেনাই লাগবে। কিন্তু এই চরিত্রে তাঁকে পাওয়ার ফলে আমার গল্পটা প্রাণবন্ত হয়েছে।’
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘ফারুকী ভাইয়ের সঙ্গে আমার ২০০৫ থেকে কাজের শুরু, এখন ২০২৪। আমার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট ছিল সেই কাজ। আর এবার মনোগামী সিনেমার গল্পটা একদমই আলাদা। সিনেমায় কিছু মনস্তাত্ত্বিক দিক আছে, যা দর্শককে ভাবাবে। আর এখানে আমার চরিত্রের লুক, গেটআপ একদম ভিন্ন থাকবে।’
কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে জেফার বলেন, ‘একজন সংগীতশিল্পী হিসেবে আগেও পর্দায় হাজির হয়েছি। কিন্তু মনোগামী সিনেমায় কাজের অভিজ্ঞতা একদম ভিন্ন। বিষয়টি আমার জন্য অনেক আনন্দের, একই সঙ্গে চ্যালেঞ্জিং।’
আরও চমক বাকি ছিল। সিনেমার অভিনয়শিল্পী হিসেবে সাংবাদিকদের সামনে আসেন চঞ্চল–পুত্র শুদ্ধ, সে চঞ্চলের ছেলের চরিত্রেই থাকছে সিনেমায়। সঙ্গে আরও রয়েছেন নৃত্যশিল্পী সামিনা হোসেন প্রেমা ও মেয়ে রাই।
শুদ্ধর ভাষ্যে, ‘আমি বাবার শুটে অনেকবার গিয়েছি। এবার নিজে শুটে গিয়ে খুব নার্ভাস লেগেছিল। শুটের আগের দিন সারা রাত ঘুমাতে পারিনি। ফারুকী আঙ্কেলের এই সিনেমায় কাজ করাটা আমার জন্য অন্য রকম অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে। আর বাবার সঙ্গে কাজ করেও খুব আনন্দ লাগছিল।’
সংবাদ সম্মেলনে অভিনেত্রী ও প্রযোজক নুসরাত ইমরোজ তিশা, অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, চরকির প্রধান নির্বাহী ও নির্মাতা রেদওয়ান রনি, সংগীতশিল্পী জেফার, শুদ্ধসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।