ভিউ না থাকলে ভালো কাজ নিশ্চয়ই খারাপ হয়ে যায় না

তরুণ নির্মাতা আতিফ আসলাম পরিচালিত `সুইচ'–এ অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন ফারিন খান। নাটক ও চলচ্চিত্র নিয়ে গত শুক্রবার তরুণ অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছে ‘বিনোদন’

প্রথম আলো:

‘সুইচ’ নাটকে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

ফারিন খান: ‘বারফি’ নামে একদম নতুন একটি চ্যানেলে নাটকটি মুক্তি পেয়েছে। কোনো সাবস্ক্রাইবারই ছিল না। মাত্র তিন দিনে এক মিলিয়ন দেখা হয়েছে। এটা অনেক বড় প্রাপ্তি। এতে আমি ও সোহেল মণ্ডল অভিনয় করেছি। সোহেল ভাই ওটিটিতে অনেক জনপ্রিয় ও ভালো একজন অভিনেতা। সোহেল ভাই আমার চেয়ে পুরোনো। কিন্তু আমি একদমই নতুন। ওই জায়গা থেকে এত ভিউ অনেক বড় একটি ব্যাপার। সোহেল ভাই ও পরিচালক (আতিফ আসলাম) আমাদের অনেক সহযোগিতা করেছেন।

ফারিন খান
শিল্পীর সৌজন্যে
প্রথম আলো:

ছয় দিনে নাটকটি ১১ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে। অভিনয়শিল্পী হিসেবে আপনার কাছে ভিউ কতটা গুরুত্বপূর্ণ?  

ফারিন খান: একটা কাজের সঙ্গে প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পীসহ আরও অনেকে যুক্ত থাকেন। প্রযোজকেরা অর্থ লগ্নি করেন। ভিউয়ের কারণে অর্থটা তুলতে পারেন। পরের কাজের পরিকল্পনা করতে পারেন। ভিউ আমাদের উৎসাহিত করে। তবে একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে বলতে পারি, কাজটাকেই আগে মূল্যায়ন করা দরকার। কাজটা কতটা মানসম্পন্ন হচ্ছে, কাজটা কতটা মানসিকভাবে শান্তি দিচ্ছে—সেটা বিবেচনা করি। অভিনয় শুধু পেশা নয়, নেশাও। ফলে ভিউ খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার নয়। অনেক ভালো কাজ আছে, দেখা গেছে সেটার ভিউ নেই। ভিউ না থাকলে ভালো কাজটা নিশ্চয়ই খারাপ কাজ হয়ে যায় না। আবার প্রযোজকের কথা চিন্তা করলে ভিউ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

প্রথম আলো:

আগামী দিনে আপনাকে আর কী কী নাটকে পাওয়া যাবে?

ফারিন খান: রুবেল আনুশ ভাইয়ের একটি কাজ করেছি। আমার সঙ্গে পার্থ শেখ আছেন। অনেক দিন পর মনে হয়েছে, চমৎকার একটি কাজ করেছি। জুনায়েদ বোগদাদী, আবু হুরায়রা তানভীরের সঙ্গে কাজ করেছি। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ইমতিয়াজ বর্ষণ ভাই, শাশ্বত দত্তের সঙ্গে কাজ করছি। ওটিটির দু–একটি কাজ শুরু করব। পাশাপাশি একটি বিজ্ঞাপনচিত্রের কাজ করব।

ফারিন খান
শিল্পীর সৌজন্যে
প্রথম আলো:

২০১৭ সালে ‘ধ্যাততেরিকি’ দিয়ে আপনার অভিনয়ে অভিষেক। পরে সিনেমায় নিয়মিত হলেন না কেন?

ফারিন খান: তখন আমি অনেক ছোট ছিলাম। সবে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলাম। পরে কলেজে ভর্তির ব্যাপার ছিল। ফলে অভিনয় থেকে দূরে ছিলাম। মাঝখানে কোভিডের মধ্যে আর কাজ করা হয়নি। কোভিড শেষ হওয়ার পর চারটি সিনেমার কাজ শেষ করেছি। কবে মুক্তি পাচ্ছে, সেটা এখনো বলতে পারছি না।

এর মধ্যে ২০২২ সালের শেষের দিকে প্রাচ্যনাটে থিয়েটার করেছিলাম। তখন ভাবলাম, শুধু সিনেমার জন্য অপেক্ষা না করে ছোট পর্দায়ও কাজ করতে পারি। সেই ভাবনা থেকে (কাজল আরেফিন) অমি ভাইয়ের ফিমেল দিয়ে নাটক শুরু করেছি। এক বছর ধরে নাটকে কাজ করছি।

প্রথম আলো:

নাটকের পাশাপাশি দীপ্ত প্লের ‘ত্রিভুজ’, চরকির ‘প্রচলিত’ সিরিজের ‘বিলাই’ গল্পে কাজ করেছেন। ওটিটিতে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?

ফারিন খান: ওটিটিতে কাজের অভিজ্ঞতা খুবই ভালো। ওটিটিতে সিনেমার স্বাদ পাওয়া যায়। ওটিটিতে বড় আয়োজনে কাজ হয়, সিনেমার মতোই। রিহার্সাল হয়, নাটকে সেটা পাই না। ভালো পরিচালকের কাজ পেলে অবশ্যই করি। ওটিটি নিয়ে আলাদা পরিকল্পনাও আছে।

ফারিন খান
শিল্পীর সৌজন্যে
প্রথম আলো:

অভিনয়ে কাকে আদর্শ মানেন?

ফারিন খান: সুবর্ণা মুস্তাফা ও হুমায়ুন ফরীদি—দুজনকে অনুসরণের চেষ্টা করি। এ ছাড়া জয়া আহসান, বিপাশা হায়াত, আফসানা মিমি, জাহিদ হাসান, শাবনূরকে অনেক পছন্দ করি।

প্রথম আলো:

অভিনয়ে এলেন কীভাবে?

ফারিন খান: ছোটবেলা থেকে নাচ, গান ও অভিনয়ের প্রতি আলাদা আগ্রহ ছিল। স্কুলে নাচতাম। বড় হওয়ার পরে বেশ কিছু রিয়েলিটি শোতে নেচেছি, মডেলিং করেছি। জাজ মাল্টিমিডিয়ার আবদুল আজিজ ভাই আমাকে একটা শোতে দেখেছিলেন, ওখান থেকে ধ্যাততেরিকি সিনেমা দিয়ে অভিনয়ে এসেছি।

ফারিন খান
শিল্পীর সৌজন্যে
প্রথম আলো:

আপনার জন্ম, বেড়ে ওঠা ও পড়াশোনা কোথায়?

ফারিন খান: জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকার সাভারে। সাভারের স্কুল ও কলেজে পড়েছি। এখন বাঙলা কলেজে পলিটিক্যাল সায়েন্সে স্নাতক পড়ছি।  
সাক্ষাৎকার  

আরও পড়ুন