জ্যাকি চান দেখিয়ে দিলেন, তিনি এখনো পারেন
অ্যাকশন-কমেডি ঘরানার অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছেন জ্যাকি চান। একটা সময় তাঁর সেসব সিনেমা উপভোগ করেছেন দর্শকেরা। তবে কয়েক বছর ধরেই ‘জ্যাকি-জাদু’ যেন কিছুটা ফিকে হয়ে এসেছিল। ‘হিডেন স্ট্রাইক’ দিয়ে অবশেষে দাপটের সঙ্গে ফিরেছেন এই অভিনেতা। চলতি সপ্তাহে নেটফ্লিক্সের ইংরেজি সিনেমার সেরা দশের তালিকায় শীর্ষে আছে এই সিনেমা।
গত ৬ জুলাই সংযুক্ত আরব আমিরাত ও নির্বাচিত কয়েকটি দেশে মুক্তি পায় ‘হিডেন স্ট্রাইক’। তবে ২৮ জুলাই নেটফ্লিক্সে আসার পরও ছবিটি রীতিমতো সাড়া ফেলে দেয়। নেটফ্লিক্সের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত সিনেমাটি সাড়ে চার কোটি মিনিটের বেশি স্ট্রিমিং হয়েছে। বিশ্বের ৭৪টি দেশে নেটফ্লিক্সের শীর্ষ ১০ সিনেমার তালিকায় আছে ‘হিডেন স্ট্রাইক’। এর মধ্যে শীর্ষে আছে ৪৮টি দেশের।
‘হিডেন স্ট্রাইক’ সিনেমার এমন সাফল্য অনেকটা অপ্রত্যাশিতই বলা যায়। সমালোচকদের কাছে তেমন পাত্তা পায়নি ছবিটি। অনেক সমালোচক তো গল্প, অ্যাকশন আর গ্রাফিকসকে ‘অতি নিম্নমানের’ আখ্যা দিয়েছেন। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট–এর সমালোচক জেমস মার্শ হিডেন স্ট্রাইককে রেটিং দিয়েছেন ৫-এ মাত্র ১।
সমালোচকেরা পছন্দ না করলেও সাধারণ দর্শকেরা যে ছবিটির কমেডি আর অ্যাকশনে মজেছেন, তা নেটফ্লিক্সের টপ চার্ট দেখলেই বোঝা যায়। ইউটিউবে ছবিটির ট্রেলারের নিচে এক দর্শক মন্তব্য করেছেন, ‘কে বলবে জ্যাকি চানের বয়স ৬৯! এই সিনেমা দিয়ে তিনি নিজের সেরা সময়কে মনে করিয়ে দিয়েছেন।’ আরেক দর্শক লিখেছেন, ‘অনেক দিন পর পুরোনো রূপে প্রিয় তারকাকে দেখলাম।’
ছবির গল্প স্পেশাল ফোর্সের এক অবসরপ্রাপ্ত সদস্যকে নিয়ে, যাকে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে একদল বেসামরিক নাগরিককে উদ্ধার করতে হবে। জ্যাকি চান ছাড়া স্কট ওয়াগ পরিচালিত এই ছবির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাবেক রেসলার জন সিনা। যদিও এই চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল সিলভেস্টার স্ট্যালনের। কিন্তু পূর্বনির্ধারিত অন্য সিনেমার শুটিংয়ের সময়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় তিনি সরে দাঁড়ান।
এখন পর্যন্ত ছবিটির সিকুয়েলের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানা যায়নি। তবে স্ক্রিনর্যান্টসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, ‘হিডেন স্ট্রাইক টু’ আসার সম্ভাবনা প্রবল। প্রথম কিস্তির মতো দ্বিতীয় কিস্তিতেও জ্যাকি চান ও জন সিনা কোনো রোমাঞ্চকর অভিযানে বের হবেন।