সাপটা সত্যি ছিল, তবে...
চলছে এইচবিওর বহুল চর্চিত সিরিজ ‘দ্য হোয়াইট লোটাস’-এর তৃতীয় মৌসুম। এই সিরিজে চেলসি চরিত্রে অভিনয় করে নজর কেড়েছেন ব্রিটিশ অভিনেত্রী এমি লু উড। থাইল্যান্ডে হয়েছে এবারের মৌসুমের শুটিং। পর্দায় দেখা যায়, এমি সাপের কামড় খেয়েছেন। সেই সাপ সত্যি কি না, তা নিয়েই চলছে জল্পনা। সম্প্রতি বিবিসি ওয়ানের ‘দ্য জনাথন রস শো’তে এসে ‘সাপ-রহস্য’ ফাঁস করেছেন এমি।
‘সাপটা অবশ্যই সত্যি ছিল, তবে পা নকল। শুটিংয়ে নকল পা বানানো হয়, সেখানেই কামড় দেয় সাপ। থাইল্যান্ডে যাওয়ার আগের দিন আমার বাড়িতে শুটিং ইউনিটের একজন আসেন, তিনি কৃত্রিম পা তৈরির জন্য আমার পায়ের মাপ নেন; তখন অবশ্য জানতাম না নেপথ্যের কারণ। তবে নকল পা কী দিয়ে বানানো হয়েছে, তা জানি না,’ বিবিসির অনুষ্ঠানে বলেন অভিনেত্রী।
আরও জানান, তাঁর সাপে ভয় নেই; দৃশ্যটির শুটিংও তাই বেশ উপভোগ করেছেন।
নেটফ্লিক্সের সিরিজ ‘সেক্স এডুকেশন’ দিয়ে আলোচনায় আসেন তরুণ এই ব্রিটিশ অভিনেত্রী। তাঁর জনপ্রিয়তা আরও এক ধাপ বাড়িয়ে দিল ‘দ্য হোয়াইট লোটাস’। এ প্রসঙ্গে দ্য হলিউড রিপোর্টারকে এমি বলেন, ‘চেলসি চরিত্রটি আমার খুবই পছন্দ। আমি নিজেই চরিত্রটির প্রেমে পড়ে গেছি। চরিত্রটি নিয়ে এত প্রশংসা পাচ্ছি, এগুলো হজম করতেই মনে হয় বছর চলে যাবে।’ এমি জানান, সিরিজের প্রচার শেষ হলে সবকিছু থেকে বিরতি নিয়ে ঘুরতে বের হবেন। তবে সিরিজের মতো বিলাসবহুল পাঁচ তারকা রিসোর্ট তাঁর পছন্দ নয়, সাধারণভাবে ঘুরতেই বেশি ভালো লাগে, এটাও জানাতে ভোলেননি।
ব্যয়বহুল রিসোর্ট, অবকাশযাপন, ‘অনৈতিক’ ব্যাপারস্যাপার আর সম্পর্কের গল্প নিয়ে ‘দ্য হোয়াইট লোটাস’। এইচবিও আর এইচবিও ম্যাক্সে ২০২১ সালে যখন সিরিজটির প্রথম মৌসুম মুক্তি পায়, তখনই ব্যাপক প্রশংসিত হয়।
২০২২ সালে পরের মৌসুমের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার ঘটে। জনপ্রিয় সব পর্যটনকেন্দ্রে শুটিং, সময়ের সঙ্গে যায় এমন সব বিষয়; তাই বোদ্ধা থেকে সাধারণ দর্শক—সবারই সিরিজটি পছন্দ। তবে এসব ছাপিয়েও বড় কারণ হলো নির্মাতাদের বার্তা। কার্যত পুরো সিরিজেই পুঁজিবাদী সমাজ নিয়ে বার্তা দিতে চেয়েছেন নির্মাতারা। আর গুরুগম্ভীর কোনো সংলাপ বা অতি নাটকীয়তা ছাড়াই ডার্ক কমেডির মোড়কে সেটা দেওয়া হয়েছে।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পায় ‘দ্য হোয়াইট লোটাস’-এর তৃতীয় মৌসুমের প্রথম পর্ব, শেষটি পাবে আগামী ৬ এপ্রিল।