মিম বললেন, সব সময় চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি; নাঈম বললেন, শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করেছি
প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে একসঙ্গে আসছেন মিম ও নাঈম। ২৮ জুন এটি মুক্তি পাচ্ছে। এর আগে বৃহস্পতিবার ‘মিশন হান্টডাউন’ নামের এই সিরিজের ট্রেলার প্রকাশিত হয়েছে। ২ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডের এই ট্রেলার দিয়ে ওয়েব সিরিজ সম্পর্কে ধারণা দিতে চেয়েছেন পরিচালক সানী সানোয়ার ও ফয়সাল আহমেদ। এই সিরিজে মাহিদ চরিত্রে নাঈম এবং নীরা চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিম।
‘মিশন হান্টডাউন’ সিরিজে এটিএস (অ্যান্টিটেররিস্ট স্কোয়াড) প্রধান মাহিদের গল্প দেখানোর পাশাপাশি দেখানো হয় গ্রামের এক সাধারণ মেয়ে নীরার গল্পও। নীরা তার সদ্য বিবাহিত স্বামী জিল্লুরকে খুঁজতে ঢাকায় আসে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সাহায্য চায়, কিন্তু পুলিশ তাকে সাহায্য করতে অপারগতা প্রকাশ করে। এরই মধ্যে মাহিদের সঙ্গে নীরার পরিচয় হয়। তারা একসঙ্গে নিখোঁজ স্বামীকে খুঁজে পেতে মিশন শুরু করে। মিশন শুরুর পর তারা জানতে পারে, একটি সন্ত্রাসী সংগঠন দেশে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে। এতে তাদের মিশনে নতুন মোড় নেয়। এতে আরও অভিনয় করেছেন সুমিত সেনগুপ্ত, এ কে আজাদ সেতু প্রমুখ।
‘মিশন হান্টডাউন’-এ অভিনয় প্রসঙ্গে নাঈম বলেন, ‘এই সিরিজে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। বলা যেতে পারে, এটিতে কাজ করাটা আমার জন্য একপ্রকার সাধনার মতো। চার মাস ধরে মাহিদ চরিত্রটির মধ্যে ডুবে ছিলাম। এমন একটি চরিত্রে কাজ করার সুযোগ পাওয়া আমার জন্য সত্যি অন্য রকম। এ ছাড়া প্রথমবারের মতো কোনো সিরিজের প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছি এবং আমি এটিতে আমার শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এখন বাকিটা দর্শকদের ওপর নির্ভর করছে।’
ট্রেলারে দর্শক প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিদ্যা সিনহা মিম বলেন, ‘ট্রেলার প্রকাশের পর দর্শক প্রতিক্রিয়া দেখে আমি অভিভূত। আশা করছি, দর্শকেরা তাঁদের এই ভালোবাসা সিরিজটি মুক্তির পরও দেখাবেন। আমি সব সময় চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি। পরিচালকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, আমাকে এমন একটি জটিল চরিত্রকে জীবন্ত করার চ্যালেঞ্জ দেওয়ার জন্য।’
সানী সানোয়ার এর আগে ‘মিশন এক্সট্রিম’ ও ‘মিশন এক্সট্রিম ২ ব্ল্যাক ওয়ার’ দুটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন।
এবার ওয়েব সিরিজ ‘মিশন হান্টডাউন’ নির্মাণ প্রসঙ্গে পরিচালক সানী সানোয়ার বলেন, ‘অ্যাকশন-থ্রিলারের মতো জনপ্রিয় ধারায় একটি ওয়েব সিরিজ নির্মাণের জন্য অভিজ্ঞ দল এবং সহায়ক বাজেটের দরকার হয়। আমাদের দেশে এই দুটোরই অভাব রয়েছে। হইচইকে ধন্যবাদ, তারা আমাদেরকে এমন একটি সিরিজ তৈরি করতে সব ধরনের সহযোগিতা করেছে। আমার বিশ্বাস, দর্শকেরা “মিশন হান্টডাউন”–এর মতো একটি সুন্দর গল্পের ভিন্নধর্মী উপস্থাপন উপভোগ করবেন।’