ছবি মোশাররফ করিমের, নাম আব্বাস; ড্রাইভিং লাইসেন্সটি কার?
গতকাল থেকে ফেসবুকে ঘুরছে অভিনেতা মোশাররফ করিমের ছবিসহ একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স। অবশ্য লাইসেন্সটি মোশাররফ করিমের বললে ভুল হবে। কারণ, এই অভিনেতার ছবি থাকলেও সেখানে নাম লেখা আব্বাস। ভক্তরা কেউ কেউ প্রশ্ন করছেন, তাহলে কি এই অভিনেতার আসল নাম আব্বাস। আর আসল নাম যদি আব্বাসই হয়, তাহলে কেন তিনি ট্রাক (ভারী যান) চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স করেছেন। এই প্রশ্নের উত্তর দিলেন পরিচালক অমিতাভ রেজা চৌধুরী।
মোশাররফ করিমকে এমন একটা ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হবে, এটা নিয়ে আরও তিন বছর আগেই এই অভিনেতার সঙ্গে নাকি কথা হয় অমিতাভ রেজার। যাঁরা এখনো ঘটনা বুঝতে পারেননি, তাঁদের জন্য একটু খোলাসা করা যাক। এবার মোশাররফ করিমকে দেখা যাবে ট্রাক ড্রাইভারের চরিত্রে। ট্রাক নিয়ে সারা দেশে ঘুরবেন। গল্পটি শোনার সঙ্গে সঙ্গেই নাকি এই অভিনেতা তিন বছর আগেই জানিয়েছিলেন, ‘অমিতাভ ভাই, চলেন এই কাজটি করি।’
গতকাল হইচই একসঙ্গে ছয়টি ওটিটির কনটেন্টের নাম ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে একটি ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। তার কেন্দ্রীয় চরিত্রে মোশাররফ করিম। অমিতাভ রেজা জানান, গল্প নিয়ে এখনই তেমন কিছু জানানো যাবে না। তবে প্লট সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দিয়ে বলেন, ‘একজন ট্রাকচালক যে সারা দেশে ট্রাক নিয়ে ছুটে যান। মানুষটা খুবই রসিক। বিভিন্ন সময় এই আব্বাস চরিত্রটি ভিন্ন ভিন্ন ক্রাইসিসে পড়ে। সেগুলো কমেডি আকারে তুলে ধরা হয়েছে। আমি বলব, আমার গল্পটি কমেডি জনরার।’
এর আগে রোড সিরিজ ‘ঢাকা মেট্রো’ বানিয়ে প্রশংসা পেয়েছিলেন এই পরিচালক। সেখানে ঢাকা শহরের গল্প বললেও এবার একেবারেই ভিন্ন গল্প। ‘আমার এই গল্প প্রায় ১০ বছর আগের। এটা নিয়ে আমি সিনেমা বানাতে চেয়েছিলাম। পরে হইচইয়ের সঙ্গে কথা হয়। তারা গল্প শুনে পছন্দ করে। যে কারণে এখন ওয়েবের জন্য কাজটি করছি। আর দুই-তিন বছর আগে গল্পটি নিয়ে মোশাররফ ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়। চরিত্রটি তাঁর খুবই ভালো লাগে। আব্বাস চরিত্রটিতে অনেক চমক আছে। আমরা আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে এর শুটিং করতে চাই।’ ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’ এই বছরই মুক্তি পাবে। তবে আর কারা থাকছে সেটা এখনো চূড়ান্ত নয়।
হইচইয়ের ‘মহানগর’ সিরিজে বাজিমাতের পর এবার ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’ সিরিজে পাওয়া যাবে মোশাররফ করিমকে। সিরিজটি নির্মাণ করছেন ‘আয়নাবাজি’, ‘ঢাকা মেট্রো’ নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী। ট্রাকচালক আব্বাস চরিত্রে আসছেন তিনি, যিনি এক দুর্দান্ত প্রেমিক। সাত জেলায় সাত সংসার তাঁর। আট বিয়ে নিয়ে বাধে গন্ডগোল।