মরক্কোতে মূকাভিনয় পরিবেশন করলেন বাংলাদেশের শিল্পীরা
মরক্কোর প্রাচীন শহর কাসাব্লাঙ্কায় অবস্থিত দ্বিতীয় হাসান ইউনিভার্সিটিতে চলছে ৩৫তম নাট্যোৎসব। এতে ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, মরক্কো, তিউনিসিয়া ও সৌদি আরবের শিল্পীদের পাশাপাশি অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশের শিল্পীরা। গত বৃহস্পতিবার ‘অস্বীকৃতি’, ‘চেয়ার: দ্য সাইন অব পাওয়ার’, ‘ভালোবাসা’ এবং ‘অতঃপর, সুবোধ পালাবে না আর’—চারটি স্কেচ নিয়ে ৪০ মিনিটের প্রযোজনাটি পরিবেশন করেছেন বাংলাদেশের শিল্পীরা। মাইম অ্যাকশন ও মূকাভিনয়ের একাডেমিক প্ল্যাটফর্ম ইনস্টিটিউট অব মাইম অ্যান্ড মুভমেন্টের সমন্বয়ে পরিবেশিত হয়েছে প্রযোজনাটি।
সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বর্তমান পৃথিবীর বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে এই প্রযোজনায়। প্রথম স্কেচটি হত্যা, ধর্ষণ ও নারীর প্রতি বর্বরতার কালো অধ্যায় নিয়ে। দ্বিতীয়টি ক্ষমতার প্রতীক চেয়ারকে কেন্দ্র করে। তৃতীয়টি আধুনিক প্রেম-বাস্তবতা নিয়ে। শেষ গল্পটি বাংলাদেশের বহুল আলোচিত সুবোধ চরিত্র নিয়ে। এই প্রযোজনায় প্রচলিত রীতির বাইরে গিয়ে প্রপস-সেটের মাধ্যমে উত্তরাধুনিক মাইমকে দর্শকদের সামনে আনার চেষ্টা করা হয়েছে।
মীর লোকমান ও শাহরিয়ার শাওনের রচনা ও নির্দেশনায় এতে অভিনয় করেছেন মৌসুমী মৌ, সোহান, শাহরিয়ার শাওন ও মীর লোকমান। ২৪ জুলাই শুরু হওয়া এই নাট্যোৎসব শেষ হবে ২৯ জুলাই শনিবার।
বাংলাদেশ দলের দলনেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক তাওহিদা জাহান বলেন, মাইম পরিবেশনার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফুটিয়ে তুলেছেন সমাজের নানা অসংগতি। ৩৫তম আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার উৎসবের অংশগ্রহণকারী সবাই বাংলাদেশ দলের এই মাইম পরিবেশনা উপভোগ করেছেন এবং প্রশংসা করেছেন।
মীর লোকমানের হাত ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ‘না বলা কথাগুলো না বলেই হোক বলা’ স্লোগান নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশন (ডুমা)।
ইতিমধ্যে দেশ-বিদেশে সাত শতাধিক প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে সংগঠনটি। ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় মূকাভিনয়শিক্ষার একাডেমিক প্ল্যাটফর্ম ইনস্টিটিউট অব মাইম অ্যান্ড মুভমেন্ট (আইএমএম)। বিভিন্ন সময় তারা অংশ নিয়েছে ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও আর্মেনিয়ায় অনুষ্ঠিত মূকাভিনয় প্রদর্শনীতে।