স্টার সিনেপ্লেক্স এখন রাজশাহীতেও
ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে ২০০৪ সালে যাত্রা শুরু করে স্টার সিনেপ্লেক্স। ভালো পরিবেশ, উন্নত সাউন্ড সিস্টেম ও আধুনিক প্রযুক্তি যোগ করে সিনেমাপ্রেমীদের আকৃষ্ট করে প্রেক্ষাগৃহটি। এরপর ঢাকায় পাঁচটি ও চট্টগ্রামে স্টার সিনেপ্লেক্সের একটি শাখা চালু হয়েছে। এবার স্টার সিনেপ্লেক্স পেল রাজশাহী। আজ শুক্রবার এর যাত্রা শুরু হলো।
রাজশাহী শহরেই একসময় ছয়টি সিনেমা হল ছিল। একে একে বন্ধ হয়ে গেছে সবই। চার বছর ধরে একটি সিনেমা হলের জন্য আক্ষেপ করছিলেন রাজশাহীর সিনেমাপ্রেমীরা। সেই আক্ষেপ মিটিয়ে দিল স্টার সিনেপ্লেক্স। রাজশাহী নগরের বুলনপুর এলাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই–টেক পার্কের জয় সিলিকন টাওয়ারে সিনেপ্লেক্সের একটি শাখা চালু করা হলো।
আজ বিকেলে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ প্রধান অতিথি হিসেবে সিনেপ্লেক্সের উদ্বোধন করেন। পরে কেক কাটা হয়। অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোথাও সিনেমা হল চালু হলে ভালো লাগে। আমাদের চলচ্চিত্রশিল্প আবারও ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।’
অনুষ্ঠানে স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান জানান, সারা দেশে মোট ১০০টি সিনেপ্লেক্স করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিমধ্যে ১৭টি চূড়ান্ত হয়েছে। তিনি মনে করেন, যত বেশি জায়গায় সিনেমা প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা যাবে, তত দ্রুত সিনেমায় লগ্নি করা অর্থ উঠে আসবে। তখন দ্রুতই দেশের চলচ্চিত্রশিল্প এগিয়ে যাবে। তিনি এ লক্ষ্যে কাজ করবেন।
অনুষ্ঠানে কথা বলেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ এবং বাংলাদেশ হাই–টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ। ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনও। বাঁধন বলেন, ‘রাজশাহীতে সিনেমা হলই ছিল না, সেই জায়গায় সিনেপ্লেক্স হলো। এটা সিনেমার জন্য অত্যন্ত ভালো ব্যাপার। আমাদের চলচ্চিত্রশিল্পীদের জন্যও ভালো খবর।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই–টেক পার্কের প্রকল্প পরিচালক এ কে এম ফজলুল হক, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক আবদুল বাতেনসহ স্টার সিনেপ্লেক্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পরে স্টার সিনেপ্লেক্সের পর্দায় হলিউডের সিনেমা ‘অ্যাভাটার টু’ প্রদর্শন করা হয়। অতিথিরা কিছুক্ষণ তা উপভোগ করেন। সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিদিন দুপুর ও বিকেল—দুই শিফটে টু–ডি ও থ্রি–ডি সিস্টেমে সিনেমা দেখার সুযোগ থাকছে এখানে। সকালের শিফটে টু–ডি টিকিটের দাম ২৫০ টাকা। বিকেলে থ্রি–ডি টিকিটের দাম ৩০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।