আর্থিক প্রতারণা মামলায় নোরাকে সাক্ষী করা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন জ্যাকুলিন
কিছুদিন আগেই ২১৫ কোটি রুপির আর্থিক প্রতারণা ও মুদ্রা পাচারের মামলায় বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে ভারতের আর্থিক দুর্নীতি–সংক্রান্ত তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি)। প্রতারণার দায়ে গ্রেপ্তার সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে জ্যাকুলিনের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পেয়েছে ইডি। ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়—অভিযোগপত্রে জ্যাকুলিনের নাম আসার পর অনেক প্রযোজকই তাঁকে নিয়ে সিনেমা বানাতে আর আগ্রহী নন। তবে এবার এই বলিউড নায়িকা এ ব্যাপারে মুখ খুলেছেন। এ নিয়ে শ্রীলঙ্কান অভিনেত্রী এত দিন মুখ খোলেননি। অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন ‘কিক’ অভিনেত্রী। প্রশ্ন তুললেন তাঁর বিরুদ্ধে দেওয়া সাক্ষী নিয়ে।
আর্থিক প্রতারণা মামলার জালে ক্রমশ জড়িয়ে পড়ছেন জ্যাকুলিন। এই মামলার কারণে ইডি তাঁকে একাধিকবার তলব করে জেরা করেছে। তাঁর গচ্ছিত অর্থসহ সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এই তদন্তকারী সংস্থা। জ্যাকুলিনের বিদেশে যাওয়ার ওপরও এসেছে নিষেধজ্ঞা। কিছুদিন আগে ইডির কর্মকর্তা প্রবীণ সিং সরাসরি জানিয়েছেন—আর্থিক কেলেংকারিতে জ্যাকুলিনের যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা। এ অভিযোগের ভিত্তিতে জ্যাকুলিনের পক্ষে তাঁর আইনজীবী প্রশান্ত পাতিল ইডিকে অভিনেত্রীর বিবৃতি জমা দিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অভিনেত্রী তদন্তকারী সংস্থাকে সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন। তা সত্ত্বেও তাঁকে এই মামলায় “পরিস্থিতির শিকার” সেটা মানা হচ্ছে না। অভিনেত্রীকে হেনস্তা করা হচ্ছে।’
আইনজীবীর দাবি, জ্যাকুলিন গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার। অভিনেত্রীর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে বলে আইনজীবীর দাবি। জ্যাকুলিনের পক্ষে প্রশান্ত পাতিল আরও বলেছেন, ‘অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ—তিনি সুকেশের কাছ থেকে বহুমূল্য উপহার নিয়েছেন। কিন্তু তাঁকে উপহার নিতে বাধ্য করা হয়েছে। তাঁকে রীতিমতো জোর করা হয়েছে।’ বিবৃতিতে জ্যাকুলিন আরও বলেছেন, তাঁর এফডির (ফিক্সড ডিপোজিট) সঙ্গে সুকেশের কোনো সম্পর্ক নেই। এই কথিত প্রতারকের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার আগেই তিনি নিজের আয় থেকে এফডি করিয়েছেন। জ্যাকুলিন জানিয়েছেন, এফডির ৭ কোটি রুপি তাঁর আয়ের টাকা। এর সঙ্গে কোনো অপরাধের সম্পর্ক নেই।
কেবল জ্যাকুলিন নন, এই আর্থিক প্রতারণা মামলায় বলিউডের ‘আইটেম ডান্সার’ হিসেবে পরিচিত নোরা ফাতেহিসহ আরও কয়েকজন নায়িকার নামও জড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু ইডি নোরাকে এই মামলার অন্যতম সাক্ষী বানিয়েছে। নোরাকে সাক্ষী বানানো নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন জ্যাকুলিন। বলিউড অভিনেত্রীর অভিযোগ, মামলায় জড়িত তাঁকে ছাড়া অন্য সবাইকে সাক্ষী হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে, অথচ অনেকেই সুকেশের কাছ থেকে দামি দামি উপহার পেয়েছেন। গত বছর সুকেশের সঙ্গে জ্যাকুলিনের গভীর সম্পর্কের কথা ফাঁস হতেই ইডির কড়া নজরে পড়েন অভিনেত্রী। তাঁদের অন্তরঙ্গ বেশ কিছু ছবি অন্তর্জালে ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ আছে, সুকেশ চন্দ্রশেখর জেলে থাকা অবস্থায়ও জ্যাকুলিনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন।