২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

হার্ভি ওয়াইনস্টিন অপরাধী

হার্ভি ওয়াইনস্টিন।  ছবি: এএফপি
হার্ভি ওয়াইনস্টিন। ছবি: এএফপি

হলিউড প্রযোজক হার্ভি ওয়াইনস্টিন অপরাধ করেছেন। গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। বিশ্বজুড়ে তৈরি হওয়া হ্যাশটেগ মি টু আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে দোষী হিসেবে সম্ভবত প্রথম বিচারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাঁকে।

হলিউডের অন্যতম প্রভাবশালী প্রযোজক হার্ভি ওয়াইনস্টিন। তাঁর বিরুদ্ধে সাবেক প্রযোজনা সহকারী মিমি হ্যালেইকে যৌন নির্যাতন এবং অভিনেত্রী জেসিকা মানকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এ দুই অপরাধে তাঁকে আটক করে হেফাজতে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গত ৬ জানুয়ারি নিউইয়র্কের আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিচার শুরু হয়। আগামী ১১ মার্চ আদালতে তাঁর সাজার বিস্তারিত জানা যাবে। কমপক্ষে ৫ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে ৬৭ বছর বয়সী এই প্রযোজকের।
জোডি ক্যানটর ও মেগান টুহে নামে নিউইয়র্ক টাইমস-এর দুই প্রতিবেদক ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর হার্ভি ওয়াইনস্টিনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন লিখে হইচই ফেলে দেন। প্রতিবেদনের সূত্র ধরে পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে হ্যাশটেগ মি টু আন্দোলন। ওই প্রতিবেদনের জন্য পুলিৎজার পুরস্কারও অর্জন করেন সেই দুই প্রতিবেদক। প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, গত তিন দশকে অন্তত আটজন নারীকে যৌন হয়রানি করেছেন হার্ভে। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি, গিনেথ প্যালট্রো, আসিয়া আর্জেন্তোও, নাতাশিয়া মালথে। দুই ডজনের বেশি অভিযোগের সব কটিই অস্বীকার করেছিলেন হার্ভি।

ঘটনার পর বিশ্বের অনেক দেশেই গোপন যৌন হয়রানির ঘটনাগুলো সামনে চলে আসতে শুরু করে। যৌন হয়রানির শিকার নারী-পুরুষেরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হ্যাশটেগ মি টু লিখে তিক্ত অভিজ্ঞতা প্রকাশ করতে থাকেন। সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস