হারিয়ে যাওয়া অস্কার আবার পেলেন ৬১ বছর পর

৬১ বছর পর সেই অস্কার পুরস্কারের পরিবর্তে নতুন আরেকটি পুরস্কার পেলেন মিলস
ছবি: টুইটার

হলিউডসহ বিশ্বের তারকাদের স্বপ্ন সম্মানজনক একাডেমি পুরস্কার অস্কার জয় করা। কাঙ্ক্ষিত পুরস্কারটি পাওয়ার পর সেটি কে কোথায় রাখবেন, তা নিয়েও খবরের শিরোনাম হন তারকারা। পুরস্কার ক্রেস্টটি যত্নেই রাখেন শিল্পীরা। তেমন যত্নে রেখেছিলেন ১৪ বছরের খুদে অভিনেত্রী হেইলি মিলস। তারপরও সেই পুরস্কার হারিয়ে যায়। ৬১ বছর পর সেই অস্কার পুরস্কারের পরিবর্তে নতুন আরেকটি পুরস্কার পেলেন মিলস। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে একাডেমি কর্তৃপক্ষ।

তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেন অস্কার একাডেমির সভাপতি ডেভিড রুবিন
ছবি: টুইটার

‘দ্য মোস্ট আউটস্ট্যান্ডিং জুভেনাইল পারফরম্যান্স ডিউরিং ১৯৬০’ বিভাগে অভিনয় দিয়ে অবদান রাখার কারণে মিলসকে বিশেষ এ পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কারটি পাওয়ার সময়ে এই অভিনেত্রী পড়াশোনার জন্য বোর্ডিং স্কুলে ছিলেন। সে সময় তিনি লন্ডন থেকে আয়োজনে উপস্থিত হননি। পরে তাঁর কাছে পুরস্কারটি পৌঁছে দেওয়া হয়। একসময় তিনি টেলিভিশন সিরিজ ‘গুড মর্নিং, মিস ব্লিস’–এ অভিনয় করতে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। সেই সময় অস্কার পুরস্কারটি হারিয়ে যায় বা চুরি হয়ে যায়, যা পরবর্তী সময়ে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

‘পলিয়ানা’ সিনেমার জন্য পুরস্কারটি পেয়েছিলেন তিনি। সিনেমাটি একটি দৃশ্যে
ছবি: টুইটার

মিলস সেই সময় দুঃখের সঙ্গে গণমাধ্যমে জানান, প্রথম দিকে তিনি বুঝতে পারেননি পুরস্কারটি কতটা সম্মানের। অথচ বুঝে ওঠার পরই তিনি পুরস্কারটি হারিয়ে ফেলেছেন। পরে তিনি ঘটনাটি অস্কার কর্তৃপক্ষকে জানান। সেই সময়ে ঘটনা স্মরণ করে মিলস গণমাধ্যমে বলেন, ‘হতাশ হয়ে আমি একাডেমি কর্তৃপক্ষকে জানালাম, পুরস্কারটি খোয়া গেছে। আমি হয়তো কখনোই সেটা আর খুঁজে পাব না। এমনকি ক্যারিয়ারে আর পাব কি না, জানি না। হারিয়ে যাওয়া পুরস্কারের পরিবর্তে আমাকে বড় আরেকটি পুরস্কার দেন। তারা বলল, আমরা দুঃখিত। এভাবে পুরস্কার দেওয়ার নিয়ম নেই। তখন হৃদয়টা ভেঙে গিয়েছিল। আবার পুরস্কারটি পেয়ে খুবই খুশি।’

‘পলিয়ানা’ সিনেমার সিনেমাটি একটি দৃশ্যে ১৪ বছরের মিলস
ছবি: টুইটার

অস্কারের অফিশিয়াল টুইটার পেজে পুরস্কার হাতে ছবিতে দেখা গেল মিলসকে। হারিয়ে যাওয়া পুরস্কারটির বদলে নতুন আরেকটি পেয়ে খুশি ও উচ্ছ্বসিত এই অভিনেত্রী। মিলসের বয়স এখন ৭৫ বছর। পুরস্কারটি দেখে আত্মহারা। তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেন অস্কার একাডেমির সভাপতি ডেভিড রুবিন। মিলস ১৯৬০ সালে ‘পলিয়ানা’ সিনেমার জন্য পুরস্কারটি পেয়েছিলেন। একই সিনেমার জন্য গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারও জিতেছিলেন। এর আগে ১৯৫৯ সালে নতুন মুখ হিসেবে ‘টাইগার বে’ সিনেমার জন্য বাফটা ও বার্লিনে বিশেষ পুরস্কার জিতেছিলেন। বর্তমানে তিনি সিরিজ ও চলচ্চিত্র নিয়েই ব্যস্ত থাকেন।