রাস্তায় ঢাললেন অর্ধকোটি টাকার কোমল পানীয়

২ হাজার ১২৫ কোটি টাকা!

অর্থের যে অঙ্কটা পড়লেন, সেটা একটা সিনেমা বানানোর খরচ। সিনেমার নাম নো টাইম টু ডাই। আর এই বিশাল বাজেটের একটা ভালো অংশ খরচ হয়েছে কোমল পানীয় কিনতে। এই কোমল পানীয়র পরিমাণ ৮ হাজার ৪০০ গ্যালন। মানে, প্রায় ৩১ হাজার ৭৯৭ লিটার! বন্ড সিরিজের ২৫তম এই সিনেমার প্রযোজকদ্বয় মাইকেল উইলসন আর বারবারা ব্রকোলি নিজেরাই ব্রিটিশ গণমাধ্যম এনএমইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য ফাঁস করেন।

নো টাইম টু ডাই সিনেমার পোস্টার
ইনস্টাগ্রাম

কথা হলো, এত কোমল পানীয় দিয়ে তাঁরা কী করেছেন? খেয়েছেন, না গোসল করেছেন? সঠিক উত্তর কোনোটাই নয়। ইতালির পিচঢালা রাস্তায় তাঁরা এসব ঢেলেছেন। এরপর রাস্তা যথেষ্ট পিচ্ছিল হলে সেখানে মোটরবাইক নিয়ে চলেছে ধুন্ধুমার অ্যাকশন। রাস্তায় এ কোমল পানীয় ঢেলে বেশ কয়েকটি স্ট্যান্ট শুটিং করা হয়েছে।

বন্ডরূপী ড্যানিয়েল ক্রেগ
ইনস্টাগ্রাম

বন্ডরূপী ড্যানিয়েল ক্রেগের বদলে এই ঝুঁকিপূর্ণ স্ট্যান্ট করেছেন স্ট্যান্টম্যান পল এডওয়ার্ডস। মোটরবাইক নিয়ে তিনি প্রথমে খাড়া দেয়াল বেয়ে ওঠেন। এরপর ২৫ ফুট উচ্চতা থেকে ঘণ্টায় ৬০ মাইল বেগে পাথুরে রাস্তায় পড়েন।

এই সিনেমার সব স্ট্যান্ট পরিচালনা করেছেন হলিউডের ‘স্ট্যান্ট বস’ মরিসন। তিনি বলেন, ‘রাস্তা পিচ্ছিল করার জন্য আমি অনেক আগে থেকেই কোমল পানীয় ছিটাই। এটা আমার পুরোনো টোটকা। শুটিং শেষে আবার পিচ্ছিল রাস্তা পরিষ্কার করতে হয়েছে। রাস্তা পিচ্ছিল করতে আর আঠালো রাস্তা ঠিক করতে এই দুই দফায় আমাদের ৫০ লাখ টাকার (বাংলাদেশি মুদ্রায়) বেশি খরচ হয়ে গেছে।’

নো টাইম টু ডাই সিনেমার ভিলেন রামি মালেক
ইনস্টাগ্রাম

এদিকে তৃতীয়বারের মতো পেছাল নো টাইম টু ডাই সিনেমার মুক্তি। ২০২১ সালের ২ এপ্রিল শেষবারের মতো বন্ড হয়ে বড় পর্দায় দেখা দেবেন ডেনিয়েল ক্রেগ। ছবির মুক্তি প্রসঙ্গে এককথায় বলেছেন, ‘এটা বন্ড সিনেমা দেখার সময় নয়।’ প্রযোজকেরাও এই বিশাল বাজেটের সিনেমা এই মুহূর্তে মুক্তি দিয়ে ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। পরিস্থিতি আরেকটু স্বাভাবিক হলেই সময়টা উদ্‌যাপন করতে বন্ডের সিনেমা উপভোগ করবে বিশ্ব।

বন্ডরূপী ড্যানিয়েল ক্রেগ
ইনস্টাগ্রাম