মা হয়ে বেজায় খুশি এমা
হলিউড তারকা এমা স্টোন আর তাঁর জীবনসঙ্গী কমেডিয়ান, লেখক ও পরিচালক ডেভ ম্যাকক্যারির ঘরে এল নতুন অতিথি। প্রথমবার মা হলেন এই অস্কারজয়ী এই অভিনেত্রী। যদিও সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে, সেটি এখন পর্যন্ত প্রকাশ করেননি তাঁরা। টিএমজেড তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, ‘ছেলে নাকি মেয়ে, এ বিষয়ে কোথাও একটা শব্দও লেখা বা বলা হয়নি।’
১৩ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি হাসপাতালে সন্তান জন্ম দেন ৩২ বছর বয়সী এমা। ডেভ ম্যাকক্যারি সে সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম। এমার গর্ভবতী হওয়ার খবর দেয় ‘দ্য সান’, গত ডিসেম্বরে। এরপর এমা আর ডেভকে দেখা গেছে শহরের রাস্তায়, হাতে হাত রেখে ঘুরতে। এমার কাছের এক সূত্র জানিয়েছে, ‘এমা সুস্থ আছেন, সুন্দর আছেন। তিনি প্রতিদিন নিয়ম করে ব্যায়াম করছেন। তাঁদের বাচ্চাও সুস্থ আছে। এর বেশি কিছুই জানাতে চান না এই দম্পতি।’
২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর লস অ্যাঞ্জেলেসের এক আলোকচিত্রীর চোখ আটকে যায় এমা স্টোনের দিকে। এক বন্ধুর সঙ্গে রাস্তায় হাঁটছিলেন এই অভিনেত্রী। তাঁর স্ফীত পেট চোখ এড়ায়নি সেই আলোকচিত্রীর। ডেইলি মেইলের ওই আলোকচিত্রীই জানিয়ে দিয়েছেন গোটা হলিউডকে, ‘লা লা ল্যান্ড’খ্যাত অভিনেত্রী এমা হতে যাচ্ছেন মা। যদিও এমা স্টোন এ নিয়ে কিছুই বলছেন না। ঘরের খবর পরকে জানাতে নারাজ তিনি।
এমনকি প্রেমের খবরও শুরুতে জানাননি তিনি। পরে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছিলেন এমা ও ডেভ মিলে। হাতের আংটি দেখিয়ে জানিয়েছিলেন বাগদানের খবর। পরের বছর করোনার মধ্যেই কাউকে না জানিয়ে চুপি চুপি সেরে ফেলেন বিয়ে। যদিও এমা আর ডেভের প্রেমের খবর মার্কিন গণমাধ্যম নিশ্চিত করেছিল ২০১৭ সালের অক্টোবরে।
এমার বর টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘স্যাটারডে নাইট লাইভ’-এর বিভাগীয় পরিচালক ডেভ ম্যাকক্যারি। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই এমার সঙ্গে তাঁর পরিচয়। ২০১৯ সালে তাঁদের বাগদান হয়। ২০২০ সালের বসন্তে দুজনের বিয়ে হওয়ার কথা। কিন্তু করোনার কারণে সেটি পিছিয়ে যায়। পরে অবশ্য লুকিয়ে বিয়ে করেন দুজন। আর এমা যে হঠাৎ করেই মা হয়েছেন, এমনটি নয়। আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, সংসারে মনোযোগী হচ্ছেন তিনি। বন্ধু অভিনেত্রী জেনিফার লরেন্সকে জানিয়েছিলেন সেটা। বলেছিলেন, ‘বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সন্তানের ব্যাপারে আমার ধারণা বদলে গেছে। আমি কখনোই সন্তান নিতে চাইনি। যখন ছোট ছিলাম, তখন ভাবতাম, কখনো বিয়েই করব না। কখনো বাচ্চাও হবে না। বয়স বাড়ার পর মনে হচ্ছে, আমি সত্যিই সন্তানের মা হতে চাই।’