‘দ্য ক্রাউন’ নিয়ে আগাম কিছু জানাবে না নেটফ্লিক্স
ব্রিটিশ রাজপরিবারের কাহিনি নিয়ে ধারাবাহিক ‘দ্য ক্রাউন’। দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে সিরিজটি। কিন্তু চতুর্থ মৌসুমে এসে ব্রিটিশ সংস্কৃতিসচিব দাবি করেছেন, সিরিজের শুরুতে জানিয়ে দিতে হবে যে বাস্তব চরিত্র নিয়ে তৈরি হলেও এতে বেশ কিছু কাল্পনিক দৃশ্য থাকবে। তবে আগেভাগে এ নিয়ে কোনো আভাস দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে পরিবেশক নেটফ্লিক্স।
গত শনিবার এক বিবৃতিতে নেটফ্লিক্স জানিয়েছে, ‘দ্য ক্রাউন’ ঐতিহাসিক একটি ঘটনার ওপর ভিত্তি করে নির্মিত নিছক একটি নাটক। ফলে কাহিনির কোনো পূর্বাভাস দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। অনলাইনে ‘ডিসক্লেইমার’ ব্যাপারটি প্রচলিত। যদি কোনো ঐতিহাসিক বিষয়ের ওপর কাল্পনিক কোনো নাটক বা সিনেমা নির্মিত হয়, শুরুতে আলাদা করে দর্শকদের সেটা জানিয়ে দিতে হয় যে বাস্তব ইতিহাস বা চরিত্রের সঙ্গে এর কোনো মিল নেই। যেহেতু ‘দ্য ক্রাউন’ ব্রিটিশ রাজপরিবারের কাহিনির ওপর নির্মিত কাল্পনিক ওয়েব সিরিজ, মানুষ যাতে একে বাস্তব মনে না করেন, তাই ব্রিটিশ সরকার নেটফ্লিক্সকে বিষয়টি পরিষ্কার করার আহ্বান জানিয়েছে।
সিরিজের চতুর্থ মৌসুমে যুবরাজ চার্লস ও ডায়ানার বিয়ে এবং তাঁদের সম্পর্কের জটিলতা দেখানো হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের একাংশের বক্তব্য, চার্লস-ডায়ানার বিয়েতে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ভূমিকা এবং চার্লসকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
‘দ্য ক্রাউন’–এর লেখক পিটার মরগ্যান সিরিজের প্রথম থেকেই নিজের মতো অনেক কিছু সাজিয়েছিলেন। চতুর্থ পর্বেও তিনি সিনেমাটিক লাইসেন্স নিয়েছেন। কোথাও সত্যনিষ্ঠ থেকেছেন, কোথাও কল্পনার আশ্রয় নিয়েছেন। এরপরও দর্শকের কাছে ভুল তথ্য যাওয়ার আশঙ্কায় ব্রিটিশ সংস্কৃতিসচিব অলিভার ডাউডেন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সকে বলেছেন, এটি সত্যিই দারুণ একটি ফিকশন। তাই অন্য টিভি প্রডাকশনের মতো শুরুতে ব্যাপারটি স্পষ্ট করে দেওয়া উচিত। নয়তো এই প্রজন্মের দর্শকেরা ফিকশনটিকে সত্য ঘটনা ধরে নিতে পারেন। এ ছাড়া কিছু কট্টরপন্থী সিরিজের বিভিন্ন চরিত্র নিয়েও সমালোচনা করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ নভেম্বর নেটফ্লিক্সে মুক্তির পর থেকেই বিশ্বজুড়ে আলোচনা চলছে সিরিজটি নিয়ে। ২৪ বছর বয়সী ব্রিটিশ অভিনেত্রী এমা করিন এই সিজনে যেন এমা নন, আসল ডায়ানা। এমাকে কেউ সেভাবে চিনত না। কিন্তু ‘দ্য ক্রাউন’-এর চতুর্থ সিজনের ট্রেলার মুক্তির পর থেকেই বলাবলি শুরু হলো, ফিরে এসেছেন প্রিন্সেস ডায়ানা। অথচ এই প্রিন্সেস যখন মারা যান, এমার বয়স তখন মাত্র দুই বছর। তবে এমার শৈশব কেটেছে প্রিন্সেস ডায়ানার গল্প শুনে শুনে। আর এ মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত অভিনেত্রী এমা।