‘গেম অব থ্রোনস’ সফর
‘গেম অব থ্রোনস’-এর পাঁড় ভক্ত? সুখবর আছে আপনার জন্য। জন স্নো, ডেনেরিস টারগারিয়ান, আরিয়া স্টার্ক আর সানসা স্টার্কদের অভিনয়ের জায়গাগুলো থেকে নিমেষেই ঘুরে আসতে পারেন। নিজের চোখে দেখে আসা যাবে ‘গেম অব থ্রোনস’-এর সেই বিখ্যাত সিংহাসন, যা নিয়ে বিভিন্ন রাজার মধ্যে ছিল কাড়াকাড়ি। এবার সেই সুযোগ মিলছে নর্দান আয়ারল্যান্ডে।
বিবিসির খবর, নর্দান আয়ারল্যান্ডের ব্যান ব্রিজের লিনেন মিল স্টুডিওতে শুটিং হয়েছিল বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় এ সিরিজের। এবার সেখানেই গড়ে তোলা হয়েছে এ সিরিজ নিয়ে একটি জাদুঘর। দ্য গ্রেট হল অব উইন্টারফেল কিংবা ক্যাসল ব্ল্যাকের আসল সেট দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে সেখানে। বলে রাখা ভালো, স্পেন, আইসল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া, মরক্কোতে শুটিং হলেও সিরিজটির ৭০ শতাংশ শুটিং হয়েছিল নর্দান আয়ারল্যান্ডে। তাই সেখানেই তৈরি করা হয়েছে এ জাদুঘর। নাম দেওয়া হয়েছে, ‘গেম অব থ্রোনস স্টুডিও ট্যুর’।
সেখানে ‘গেম অব থ্রোনস’-এ ব্যবহার হওয়া আসল শুটিং সেটের পাশাপাশি কিছু কিছু সেট নতুন করেও তৈরি করা হয়েছে। ১ লাখ ১০ হাজার স্কয়ার ফুট জায়গাজুড়ে তৈরি হয়েছে এটি। কী দেখা যাবে সেখানে? ওই স্টুডিওতে বানানো হয়েছিল উইন্টারফেল গ্রেট হল। যেখানে সিরিজের ক্ষমতাবান রাজারা উপস্থিত ছিলেন। যেখানে দাঁড়িয়েছিলেন জন স্নো, টিরিয়ন লাইনেস্টার, নেড স্টার্করা। সেখানেই দাঁড়ানোর সুযোগ হবে এবার। সিরিজে ব্যবহৃত পোশাক, প্রস্থেটিক মেকআপ আর দ্রব্যসামগ্রী দেখার সুযোগ মিলবে। এর জন্য জনপ্রতি বাংলাদেশি মুদ্রায় চার হাজার টাকা খরচ পড়বে।
এ স্টুডিও ট্যুরের মহাব্যবস্থাপক ব্র্যাড কেলি বিবিসিকে বলেন, ‘সিরিজটি বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তুলেছিল। আমরা সারা বিশ্বের দর্শককে “গেম অব থ্রোনস”-এর আরও কাছাকাছি আনতে নর্দান আয়ারল্যান্ডে স্বাগত জানাই।’
‘গেম অব থ্রোনস’-এর প্রিক্যুয়েল ‘হাউস অব দ্য ড্রাগন’ বানানোর কাজ চলছে। গত বছরের অক্টোবর মাসে প্রকাশিত হয় এ সিরিজের টিজার। সবকিছু ঠিক থাকলে এ বছর এইচবিও ও এইচবিও ম্যাক্সে দেখা যাবে এ সিরিজ। বিভিন্ন রাজপরিবারের সিংহাসন পাওয়ার লড়াই নিয়ে তৈরি হয়েছে মার্কিন চ্যানেল এইচবিওর ‘গেম অব থ্রোনস’-এর কাহিনি। সিরিজটির শেষ পর্ব টারগারিয়ান রাজপরিবারের শেষ উত্তরসূরি ডেনেরিস টারগারিয়ানের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে শেষ হয়। প্রিক্যুয়েলে সেই টারগারিয়ান পরিবারের ইতিহাস তুলে ধরা হবে। জর্জ আর আর মার্টিনের উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি হয়েছে ‘গেম অব থ্রোনস’।