আসল কারণ প্রেম
কখনো কখনো ছবিতে কাজ করতে করতে নায়ক-নায়িকার প্রেম হয়ে যায়। ছবি মুক্তির পরে আরও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে তাঁদের প্রেম। আর ‘টোয়াইলাইট’খ্যাত অভিনেত্রী ক্রিস্টেন স্টুয়ার্টের বেলায় ঘটল ঠিক বিপরীত। রবার্ট প্যাটিনসনের সঙ্গে তাঁর প্রেম ‘টোয়াইলাইট’ ফ্র্যাঞ্চাইজিটিকে জনপ্রিয়তা দিয়েছে। অন্তত এমনটাই মনে করেন এই মার্কিন অভিনেত্রী।
২০০৯ সালে প্রথম ছবি মুক্তির পরই শুরু হয় এডওয়ার্ড কুলেনরূপী রবার্ট প্যাটিনসন ও বেলা সোয়ানরূপী ক্রিস্টেন স্টুয়ার্টের প্রেম। দুজনই তখন একেবারে তরুণ। পরস্পরের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন তাঁরা। সিনেমাতেও পড়ে এই রোমান্টিক রসায়নের প্রভাব। প্রথম ছবির পরে বের হয় ফ্র্যাঞ্চাইজির আরও কয়েকটি সিনেমা। সব কটি হিট। স্টুয়ার্টের দাবি, বাস্তবের এই রোমান্টিক রসায়নই বক্স অফিসে ছবিগুলোকে ব্যবসাসফল হওয়ার আসল রসদ জুগিয়েছিল।
এই অভিনেত্রী মনে করেন, তখন প্যাটিনসন ও স্টুয়ার্ট দুজনই ছিলেন অল্প বয়সী। তাই নিজেদের ভালোবাসাটাও ছিল অকৃত্রিম। বাস্তবের এই নিখাদ প্রেমের ঝলক ছবির মধ্যেও দেখা গিয়েছিল। ক্রিস্টেন বলেন, ‘আমরা তখন একেবারেই সরল ছিলাম। তবে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে আমরা অনেক ভালো করেছিলাম। এটার প্রয়োজনও ছিল।’
স্টুয়ার্টের মতে, তাঁর বিপরীতে এডওয়ার্ড কুলেনরূপে রবার্ট প্যাটিনসন ছিলেন একেবারেই যথার্থ নির্বাচন। অডিশনের সময়ই বোঝা যাচ্ছিল ওই চরিত্র আসলে কে করতে যাচ্ছেন। যদিও শেষ পর্যন্ত টেকেনি দুই তারকার ওই সম্পর্ক।
‘স্পেন্সার’ ছবিতে প্রিন্সেস ডায়ানার চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট। লিডিয়া ইয়ুকনাভিচের স্মৃতিকথা ‘দ্য ক্রনোলজি অব ওয়াটার’কে রুপালি পর্দায় নিয়ে আসছেন তিনি। এই ছবি দিয়ে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র পরিচালনায় তাঁর অভিষেক হতে যাচ্ছে।