মাকে হত্যার দায়ে তরুণ অভিনেতার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

জনপ্রিয় টিভি সিরিজ ‘রিভারডেল’ অভিনয় করেছিলেন তিনি। দেখা গেছে মার্কিন কমেডি ছবি ‘ডায়েরি অব আ উইমপি কিড’-এও। তবে অভিনয়ে ক্যারিয়ার থিতু হওয়ার আগেই অপরাধে নাম জড়িয়ে খবরের শিরোনাম হন রায়ান গ্রানথাম। ২০২০ সালের মার্চে মাকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত হন তিনি। ২৪ বছর বয়সী কানাডিয়ান অভিনেতার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ভ্যাঙ্কুভারের সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। ১৪ বছর পর তিনি প্যারোলে মুক্তির জন্য বিবেচিত হবেন। কৌঁসুলিরা জানিয়েছেন রায়ান কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকেও হত্যার ছক কষছিলেন।

২০২০ সালের ৩১ মার্চ নিজের বাড়িতে পিয়ানো বাজাচ্ছিলেন গ্রানথামের মা বারবারা। তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালান গ্রানথাম। মাথার পেছনে গুলি লাগার পর সেখানেই মারা যান বারবারা। শুধু গুলি করেই ক্ষান্ত হননি, মাকে হত্যার কথা স্বীকার করে ভিডিও রেকর্ড করেন গ্রানথাম। সেই ভিডিওতে মায়ের মৃতদেহও দেখান। ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘গুলি লাগার পর হয়তো মা বুঝেছিলেন হত্যাকারী তাঁর ছেলে।

মাকে হত্যার পর আরও বড় হত্যার পরিকল্পনা ছিল গ্রানথামের। বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, হত্যার পরের কয়েক ঘণ্টা বিয়ান ও মারিজুয়ানা সেবন করেন গ্রানথাম। পরে তিনটি বন্দুক, গুলি ও নিজের তৈরি ককটেল গাড়িতে তুলে বেরিয়ে পড়েন। উদ্দেশ্য ছিল জাস্টিন ট্রুডোর বাসভবনে গিয়ে তাঁকে হত্যা করা। প্রায় ২০০ কিলোমিটার গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার পর মত বদল করেন। পরে ভ্যাঙ্কুভার পুলিশস্টেশনে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।

এ ছাড়া নিজের ক্যাম্পাস সিমন ফ্রাসার ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে গোলাগুলি করারও পরিকল্পনাও ছিল গ্রানথামের। রায় ঘোষণার পর গ্রানথামের বোন এক বিবৃতিতে পুরো ঘটনাকে ‘মর্মান্তিক’ ও ‘হৃদয়বিদারক’ হিসেবে অভিহিত করেন। গ্রানথামকে ক্যাম্পাসে গিয়ে নির্বিচারে গুলি চালাননি সেটিকে বিচারক ‘ঈশ্বরের কৃপা’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
মাত্র ৯ বছর বয়সে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় শুরু করেন গ্রানথাম। তবে ২০১৯ সালে ‘রিভারডেল’ সিরিজের একটি পর্বে অভিনয়ের পর অভিনেতা হিসেবে পরিচিতি পান।